Panchayat Elections 2023: গোঁজপ্রার্থীদের পরিণতি নিয়ে কড়া বার্তা গৌতম দেবের

Nileswar Sanyal | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 22, 2023 | 8:21 PM

WB Panchayat Elections: তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি থেকে বারবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন, বেইমানদের দলে জায়গা হবে না।

Panchayat Elections 2023: গোঁজপ্রার্থীদের পরিণতি নিয়ে কড়া বার্তা গৌতম দেবের
গৌতম দেব।

Follow Us

জলপাইগুড়ি: গোঁজ প্রার্থী নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া সতর্কবার্তা শুনিয়েছে দলের শীর্ষনেতৃত্ব। দলের অনুমতি ছাড়া কেউ যদি ভোটে দাঁড়ায়, অর্থাৎ দলের জন্য নির্দল কাঁটা বা গোঁজ কাঁটা কেউ থাকলে তা দলও উপড়ে ফেলবে। কোনওভাবেই গোঁজ প্রার্থীদের দলে ফেরানো হবে না। এবার লিফলেট বিলি করে দলের গোঁজদের সরে আসার বার্তা দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তথা শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব। গৌতম দেব বলেন, গোঁজ প্রার্থীরা লিফলেট দিয়ে ভোটের ময়দান থেকে সরে আসার আবেদন জানান। অন্যথায় দল কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।

তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি থেকে বারবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন, বেইমানদের দলে জায়গা হবে না। এই ‘বেইমান’-এর তালিকায় দলত্যাগীরা যেমন আছেন, তেমন রয়েছেন, ভোটের সময় দলের গলার কাঁটা হয়ে বিঁধতে থাকা নির্দল কিংবা গোঁজ প্রার্থীরাও। অভিষেককে এমনও বলতে শোনা গিয়েছে, মানুষ যাঁদের প্রার্থী হিসাবে মান্যতা দিয়েছেন, তাঁদেরই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বলেছেন, জোড়াফুল প্রতীক যাঁর কাছে থাকবে তিনিই তৃণমূলের প্রার্থী।

অভিষেক কড়া বার্তা দেন, কেউ যদি কোথাও নির্দল হয়ে দাঁড়ান, দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তাহলে সেইসব ‘বেইমান’দের দলে ফেরানো হবে না। দলীয় শৃঙ্খলা মেনে সকলকে চলার বার্তা দিয়েছেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। কিন্তু তারপরও গোঁজ কাঁটায় নাজেহাল তৃণমূল। দিকে দিকে টিকিট না পেয়ে নির্দলের হয়ে ভোটে লড়ছেন অনেকেই।

এবার সেই সব কর্মীদের কঠোর বার্তা গৌতম দেবের। পঞ্চায়েত ভোটে জলপাইগুড়ি জেলায় যাঁরা প্রার্থী হয়েছিলেন, তাঁদের নিয়ে রণকৌশল নির্ধারণে বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক ছিল জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে। সেই বৈঠক শেষে গৌতম দেব বলেন, “মনোনয়ন বেশিরভাগই তুলে নিয়েছে। দলের প্রতীক আমাদের কাছে পূজনীয়। তাকে পুজো করেই বের হই। যা প্রকৃতই তৃণমূলের সৈনিক তাঁরা সকলেই এই দলের। একটা বড় দল, সেখানে মান অভিমান থাকবেই। সংসারেও হয়। মা-বাবার সঙ্গে সন্তানদেরও মনোমালিন্য হয়। তবে দিনের শেষে তা মিটেও যায়। আমাদেরও তাই। দলকে পিছন থেকে ছুরি মারা কোনও প্রকৃত সৈনিকের কাজ নয়। সুতরাং মান অভিমান সবটাই দলকে বলতে পারে। অধিকার আছে, সুযোগ আছে। দল যাঁকে প্রার্থী করেছে তাঁদেরই মানতে হবে। না হলে দলের যা নিয়ম তা মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

Next Article