জলপাইগুড়ি: মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগীর পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘিরে হইচই হাসপাতালচত্বরে। কেউ বলছেন, ‘মরণঝাঁপ’, কেউ বলছেন ‘দুর্ঘটনা’। ওই যুবকের নাম সন্তোষ শা। ২৮ বছর বয়স। বাড়ি বানারহাট এলাকায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর, পেটে ব্যথায় ভুগছিলেন সন্তোষ। বাড়াবাড়ি হওয়ায় পরিবারের লোকজন তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধীনস্থ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। গত মঙ্গলবারের ঘটনা। সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর ছুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরইমধ্যে ঘটে বিপত্তি। প্রশ্ন উঠছে, তিনি ৬ তলা থেকে ঝাঁপ দেন নাকি কোনওভাবে দুর্ঘটনার শিকার হলেন?
পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, হাসপাতালের ছ’তলার বাথরুমের জানলা ভেঙে পড়ে যান সন্তোষ। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। সেখান থেকে ওয়ার্ডে নিয়ে সেখানেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। ততক্ষণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পৌঁছয়।
এসে পৌঁছন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল কল্যাণ খাঁ। বিষয়টি নিয়ে তিনি পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কল্যাণবাবুর কথায়, “এখনই এ বিষয়ে সবটা বলা সম্ভব নয়। পুলিশ তদন্ত করবে, ময়না তদন্ত হবে। তারপর বলা যাবে।” সন্তোষের পরিবার সূত্রে খবর, একটা সময় নেশা করতেন সন্তোষ। পরিবার তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর সবসময় চেষ্টা করেছে। কিছুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সন্তোষ। সন্তোষের দাদা রঞ্জিত শাহ বলেন, “৬ তলা থেকে কীভাবে পড়ল আমরা বুঝতে পারছি না। মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারে। আবার কেউ ধাক্কা মেরেও ফেলে দিতে পারে। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছি। আসলে ও খুব মদ খেতো।”