জলপাইগুড়ি: নদী থেকে বালি পাথর পাচারের অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এর পাশাপাশি এবারে নদীর পাশ্ববর্তী এলাকার মূল্যবান গাছও দিনে দুপুরে কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেনের। আটকে দেওয়া হল বেআইনিভাবে গাছ কাটা। অভিযোগ, জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের তেলিপাড়ার কালুয়া কলোনি এলাকায় বিনা অনুমতিতে সরকারি জমি থেকে কাটা হচ্ছিল গাছ। এই খবর যায় বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা চৌধুরীর কাছে। খবর পাওয়া মাত্রই তিনি জলপাইগুড়ি বন বিভাগের মোরাঘাট রেঞ্জের বন কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। ডাকা হয় বানারহাট থানার বিশাল বাহিনী। তবে আধিকারিকদের গাড়ি দেখা মাত্রই চম্পট দেয় বেশ কয়েকজন।
এই গাছ কাটার পেছনে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দারাই নাম উঠে আসছে। গাছ কাটার সঙ্গে যুক্ত একজন শ্রমিক স্থানীয় কয়েকজনের নামও নিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, সরকারি জায়গার থেকে এইভাবে গাছ কাটার কোনও অনুমতি ছিল না।
সূত্রের খবর, মোট ৩০টি গাছ কাটার কথা ছিল এবং সেই গাছের মূল্য নির্ধারণ হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১৩ টি গাছ ইতিমধ্যে কাটা হয়েছিল। এই ৫০ হাজার টাকায় গাছ বিক্রি, কার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল কে দিয়েছিলেন অনুমতি, সেই সব নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রিনা তামাং লামা, এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। মোরা খাট রেঞ্জ অফিসের কর্মীরা সেই কাটা গাছ বাজেয়াপ্ত করে রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পেছনে কারা রয়েছে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একজন পঞ্চায়েতের নাম উঠে আসছে এই ঘটনায়। তবে তিনি বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য কিন সেই বিষয়টি নিয়ে ধন্দ রয়েছে। তবে ওই এলাকার বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ এবং বনদফতর।
বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সীমা চৌধুরী বলেন, “খবর পেয়ে এসে দেখি ১২ টি গাছ কাটা হয়ে গিয়েছে। অবৈধভাবে সরকারি গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে ।এভাবে সবুজ ধ্বংস করা যায় না। বনদফতর আধিকারিক ও পুলিশ এসেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সকলের সহযোগিতায় বনদফতর গাছগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে। যারা গাছগুলি কাটছিল তাদের দুই তিন জনের নাম বলেছে।”