জলপাইগুড়ি : বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ঝাঁটা ও কালো পতাকা দেখানোর নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তৃণমূল নেতার এমন মন্তব্যে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। শনিবার বিকেলে জলপাইগুড়িতে রাজগঞ্জের বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত হয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে জয়প্রকাশ বলেন, ‘কয়েকদিন পরই শুভেন্দু অধিকারী উত্তরবঙ্গে আসছেন। এলে ঝাঁটা দেখাবেন, কালো পতাকা দেখাবেন। একইসঙ্গে গো ব্যাক স্লোগান দেবেন। জয়প্রকাশের এমন মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।’
এ দিন রাজগঞ্জ ব্লকের বেলাকোবা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান ছিল। সেই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক, খগেশ্বর রায়, মহুয়া গোপ সহ অনেকে।
সম্প্রতি দুর্গা পুজোর বিসর্জনের দিন হড়পা বানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে লালবাজারে। জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয় আটজনের। সেই প্রসঙ্গ টেনে জয়প্রকাশ দাবি করেন, সব দলই মালবাজারের ওই ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন মাস কয়েক আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ।
শুধু শুভেন্দু নয়, এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে দেখা যায় জয়প্রকাশকে। তাঁর দাবি, বিজেপি কখনও মানুষের উপকারের জন্য কিছু করে না। শুধু রাজনীতি করাই বিজেপির উদ্দেশ্য। মৃতদেহ দেখলে বিজেপি শকুনের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি। জয়প্রকাশ মজুমদারের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর সভায় তৃণমূল নেতার গণ্ডগোল বাধাতে এলে যা ওষুধ দেওয়ার তা আমরা দিয়ে দেব।’
উল্লেখ্য, মালবাজারের ওই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সম্প্রতি মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য় ও কেন্দ্রের তরফে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।