AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: বিশাল কমলা দাঁত, কান্নার আওয়াজ অবিকল শিশুর মতো, জলপাইগুড়িতে কোথা থেকে এল এই অদ্ভুদ ইঁদুর

Jalpaiguri: রেঞ্জ অফিসার আলমগীর হক জানাচ্ছেন, সাধারণত ইঁদুরের দাঁত সাদা রঙের হয়। এটির দাঁত আকারে অনেকটা বড়। রং কমলা। ভয় পেলে আবার মানুষের সন্তানের মতো কেঁদে ওঠে। হাঁটেও উল্টোদিকে। প্রাণীটির ছবি জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই জানানো হয় এটি BAMBOO RAT প্রজাতির ইঁদুর।

Jalpaiguri: বিশাল কমলা দাঁত, কান্নার আওয়াজ অবিকল শিশুর মতো, জলপাইগুড়িতে কোথা থেকে এল এই অদ্ভুদ ইঁদুর
এই ইঁদুর নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল Image Credit: TV-9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2023 | 5:49 PM
Share

জলপাইগুড়ি: মুখের সামনে দু’টো বড় আকারের কমলা রঙের দাঁত। কান্নার আওয়াজ অবিকল মানব শিশুর মতো। এমনই এক অদ্ভুত দর্শন ইঁদুর উদ্ধার হয়েছে জলপাইগুড়িতে। যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে বনকর্মীদের মধ্যে। গত রবিবার বৈকণ্ঠপুর বনবিভাগের জঙ্গল থেকে এই ইঁদুরটি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকী ইঁদুরটির হাঁটার ধরনও অদ্ভুত। সাধারণ ইঁদুর আর পাঁচটা প্রাণীর মতো সামনের দিকে হাঁটলেও এটি আবার হাঁটছে পিছনের দিকে।

জলপাইগুড়ি জেলার বৈকণ্ঠপুর বনবিভাগের অন্তর্গত পানাশগুড়ি গ্রামের একটি পোলট্রি ফার্ম সংলগ্ন এলাকায় গত রবিবার স্থানীয় বাসিন্দারা এই বিরল প্রজাতির ইঁদুরটিকে দেখতে পান। তারপরই খবর দেওয়া হয় বনকর্মীদের। উদ্ধার করা হয় অদ্ভুত দর্শন প্রাণীটিকে। উদ্ধারকারী আমবাড়ি রেঞ্জের বনকর্মী গাঠিয়া রায় বলেন, “গ্রামের নদী থেকে কাঁকড়া ধরে ফিরছিল গ্রামের কিছু লোক। তাঁরাই প্রথম ইঁদুরটি দেখতে পান। আমাদের কাছে খবর এলে আমরা গিয়ে ওটাকে উদ্ধার করি। কিন্তু, ওর আচরণ, গতিবিধি দেখে আমরা অবাক হয়ে গিয়েছি। প্রাণীটা উল্টোদিকে হাঁটে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলে কাজ করছি। কিন্তু, এমন প্রাণী এই প্রথম দেখলাম।”  

রেঞ্জ অফিসার আলমগীর হক জানাচ্ছেন, সাধারণত ইঁদুরের দাঁত সাদা রঙের হয়। এটির দাঁত আকারে অনেকটা বড়। রং কমলা। ভয় পেলে আবার মানুষের সন্তানের মতো কেঁদে ওঠে। হাঁটেও উল্টোদিকে। প্রাণীটির ছবি জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কাছে  পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই জানানো হয় এটি BAMBOO RAT প্রজাতির ইঁদুর। যা মূলত দক্ষিণ-পূর্ব নেপাল থেকে শুরু করে দক্ষিন চিন এবং মায়নমার সহ থাইল্যান্ড পর্যন্ত পাওয়া যায়। বাঁশের বাগানেই মূলত এদের দেখা মেলে। থাকেও দলবদ্ধভাবে। বেঁচে থাকে বাঁশের অঙ্কুর খেয়ে। তবে স্বভাবগতভাবে এরা বেশ লাজুক প্রকৃতির। 

ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভারতের এই ধরনের প্রাণীর দেখা খুব একটা পাওয়া যায় না। তবে চলতি বছর আমেরিকায় এই ধরনের একটি ইঁদুর নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছিল। যা আবার নুট্রিয়া বলে পরিচিত। ওজন প্রায় ২০ পাউন্ডের কাছাকাছি। আমেরিকার কৃষি দফতরের তথ্য অনুসারে লাতিন আমেরিকাতেই সবথেকে বেশি দেখা মিলত নুট্রিয়াদের। তবে ১৮৯০ সালের পর আমেরিকায় আনা হয়েছিল পশম চাষের অংশ হিসাবে। কিন্তু, ১৯৪০ সালে পশমের বাজারে মন্দা দেখা দিলে কৃষকদের অর্থীনৈতিক ভীত নড়ে যায়। সেই সময় থেকেই আর সেভাবে নুট্রিয়াদের পালন করা হত না। অন্যদিকে চলতি বছরের জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়ার মেলব্রোনে এরকম অদ্ভুত দর্শন এক ইঁদুরের দেখা মিলেছিল। সেটিরও আকার সাধারণ ইঁদুরের থেকে বেশ আলাদা। অপেক্ষাকৃত গোলাকার। দাঁত বিশাল। একটি ল্যাব্রাডর কুকুর প্রথম এটির খোঁজ পায়।