জলপাইগুড়ি: হাতে আর বেশি সময় নেই। তারপরই লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু ভোট দিতে কীভাবে যাবেন সেই বিষয়টিই এখন ভাবাচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলার বনবস্তি এলাকাগুলিকে। কারণ রাস্তা দিয়ে গেলেই টেনে নিয়ে যেতে পারে ওরা। কারা বলুন তো? আসলে সেখানকার বনবস্তিতে থাকা মানুষজন পড়েছেন চিন্তায়। কারণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে ভোট বিরোধী হিংস্ররা। হিংস্ররা বলতে এখানে বন্য জন্তুদের কথা বলা হয়েছে।
বেশ কয়েকটি জায়গায় ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। যেগুলি জঙ্গলের মাঝে অথবা জঙ্গলের গা-ঘেঁষে রয়েছে। যেখানে ভোট দিতে গেলে জঙ্গলের মাঝ দিয়ে যেতে হবে ভোটারদের। আর সেই সময় বন্য জন্তু দের হামলার মুখে পড়তে পারেন ভোটাররা। এই শঙ্কায় আতঙ্কিত ডুয়ার্সের মরাঘাট রেঞ্জের অন্তর্গত তোতা বনবস্তির বাসিন্দারা।
প্রায় প্রতিদিন রাতেই লোকালয়ে বেরিয়ে আসে বন্যপ্রাণী। কখনো হাতি আবার কখনো বাইসন। তাই রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার মানুষ। শাসক বা বিরোধী রাজনৈতিক দল নয় যাদের চোখ রাঙ্গানিতে ভোট দিতে ভয় পাবেন সাধারণ মানুষ। এরা আসলে হিংস্র বন্যপ্রাণী। যাদের কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
এখানকার ভোটারদের দাবি, ভোট দিতে গেলে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। তাই মাঝ রাস্তায় দেখা হয়ে যেতে পারে চিতা বাঘ বাইসন অথবা হাতির। তাই গণতন্ত্রের মহৎ উৎসবে কীভাবে শামিল হবেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে এক এলাকাবাসী বলেন, “আমরা তো আতঙ্কে আছি। হাতি বাইসন থাকে জঙ্গলে। যাতায়াত করে। ক্ষতি করে দিতে পারে।” এ প্রসঙ্গে বনদফতরের আধিকারিক সঞ্চিতা শর্মা বলেন, “নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি। তবে আমরা আমাদের দিক থেকে সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।”