Jalpaiguri : দাঁড়িয়ে ছিলেন নীচে, সিলিং পরিষ্কার করতে ওঠেন স্ত্রী, মুহূর্তে সব শেষ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jun 24, 2022 | 10:09 PM

Jalpaiguri : মৃতের ভাই সুপদেব রায় বলেন, "ঘটনাটি যখন ঘটেছে আমি তখন বাড়ি ছিলাম না। আমি জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এসে দেখতে পাই দাদার গলার নলি কেটে গিয়েছে।"

Jalpaiguri : দাঁড়িয়ে ছিলেন নীচে, সিলিং পরিষ্কার করতে ওঠেন স্ত্রী, মুহূর্তে সব শেষ
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

জলপাইগুড়ি : ঘরের সিলিং পরিষ্কার করতে হবে। তাই সিলিংয়ে ওঠেন স্ত্রী। তিনি নীচে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আচমকা ভেঙে পড়ল কাঠের সিলিং। গলায় ঢুকল ভাঙা কাঠ। মুহূর্তে সব শেষ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করলেন বছর সাতান্নর খিরেন রায়কে। ঘটনাটি ময়নাগুড়ির দোমহনী এলাকার।

দোমহনী এলাকার পাইটকা খোঁচা গ্রামের বাসিন্দা খিরেন রায়। শুক্রবার দুপুরে ঘরের সিলিং পরিষ্কার করার জন্য সিলিংয়ে ওঠেন তাঁর স্ত্রী। নীচে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আচমকাই হুড়মুড়িয়ে তাঁর মাথার উপর ভেঙে পড়ে সিলিং। সিলিংয়ের ভাঙা কাঠ ঢুকে যায় তাঁর গলায়। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। বাড়ির লোকেরা তাঁকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃতের ভাই সুপদেব রায় বলেন, “ঘটনাটি যখন ঘটেছে আমি তখন বাড়ি ছিলাম না। আমি জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এসে দেখতে পাই দাদার গলার নলি কেটে গিয়েছে। এবং সিলিংটি ভাঙা রয়েছে। জানতে পারি, বৌদি উঠেছিল সিলিংয়ে। নীচে ছিল দাদা। আচমকাই সিলিং দাদার মাথার উপর ভেঙে পড়ে। এরপর হাসপাতালে আনলে ডাক্তার বলেন দাদা মারা গিয়েছে।”

খবর যায় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ হাসপাতালে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার পর শোকে মূহ্যমান মৃতের পরিবার। আচমকা এই দুর্ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মৃতের স্ত্রী। মৃতের পরিবার বলছে, নীচে দাঁড়িয়ে ছিল। কোথা থেকে কী যে হয়ে গেল !

Next Article