Covid-19 : কোভিড আবহে তালাবন্ধ বাজার, সংক্রমণ ঠেকাতে কড়াকড়ি জলপাইগুড়িতে

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Jan 12, 2022 | 11:53 PM

Jalpaiguri : হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এর মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে জলপাইগুড়ির চারটি ব্লকে সপ্তাহে দুইদিন বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

Covid-19 : কোভিড আবহে তালাবন্ধ বাজার, সংক্রমণ ঠেকাতে কড়াকড়ি জলপাইগুড়িতে
বারুইপুরে দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত (ফাইল ছবি)

Follow Us

জলপাইগুড়ি : লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২,১৫৫। জলপাইগুড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৫ জন। জলপাইগুড়িতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৮৪৮ জন। ঊর্ধ্বগামী আক্রান্তের সংখ্যায় কপালে ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের। করোনাকে কাবু করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি করোনা পরীক্ষা, দূরত্ববিধির মতো নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। জলপাইগুড়িতে এই বিধিতে নতুন সংযোজন হল সপ্তাহে দুইদিন করে বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত।

জলপাইগুড়ি জেলায় হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। জেলার নয়টি ব্লকের মধ্যে সদর, রাজগঞ্জ, ময়নাগুড়ি ও মাল এই চারটি ব্লকে করোনা সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি। তাই করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করতে সোমবার ও শুক্রবার, সপ্তাহে দুইদিন সমস্ত বাজার বন্ধ করার নির্দেশ দিল রাজগঞ্জ ব্লক প্রশাসন। এই নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এই মর্মে বুধবার রাতে রাজগঞ্জ এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সচেতনতা বার্তাও দেওয়া হয় রাজগঞ্জ থানার পুলিশের তরফে।

উল্লেখ্য, এদিন বিকেলে রাজগঞ্জ থানায় রাজগঞ্জের বিডিও এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান এবং রাজগঞ্জের ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়। বাজার এলাকার সমস্ত ব্যবসায়ী এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সকলের সম্মতিক্রমে সোমবার এবং শুক্রবার, এই দুইদিন আপাতত সমস্ত বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের বাড়-বাড়ন্ত ঠেকাতে তৎপর জলপাইগুড়ি প্রশাসন। এর আগে জলপাইগুড়ি পুরসভার তরফে বিভিন্ন জনদরদী পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে। এক কলেই ঘরে ঘরে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করেছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। ২৪x৭ খোলা রয়েছে সেই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার নম্বর। জলপাইগুড়ি শহরের জনগণের গভীর রাতেও এমার্জেন্সি পরিষবায় রোগীকে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করবে সেই অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়াও এলাকায়  এলাকায় পুরসভার তরফে স্যানিটাইজেশন, অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া বা মাস্ক, স্যানিটাইজার, বা করোনা আক্রান্তদের বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার মতো দয়িত্ব জলপাইগুড়ি পুরসভা ইতিমধ্যেই নিয়েছে।

আরও পড়ুন : Covid-19 : তৃতীয় ঢেউয়ে বন্ধ আয়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যৌনকর্মীদের চাল, ডাল বিতরণ জলপাইগুড়িতে

Next Article