জলপাইগুড়ি : দুই বন্ধুর রহস্য মৃত্যু (Mysterious Death)। পরিকল্পনা করে খুনের দাবি পরিবারের সদস্যদের। পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানালেন বিধায়ক। রাজগঞ্জের ভান্ডারীগছ গ্রামের বাসিন্দা সাহিত মহম্মদ (১৮) এবং মুক্তি আজম (১৭)। সূত্রের খবর, এই দুই বন্ধু মিলে গত ২৩ ডিসেম্বর বাইক নিয়ে বেড়াতে যায়। এরপর ওইদিন রাতেই রাজগঞ্জের সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তার ধার থেকে দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ভর্তি করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ভর্তির তিনদিনের মাথায় পর পর মৃত্যু হয় দুজনেরই। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে মৃত কিশোরদের গ্রামে।
মৃত কিশোরদের পরিবারের দাবি, গত ২৩ ডিসেম্বর রাজগঞ্জের পানিকৌড়ি অঞ্চলের একটি মেয়ের সঙ্গে দেখা করে দুই বন্ধু। এরপর মেয়েটিকে বাইকে চাপিয়ে এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ ঘোরে দুজনে। কিন্তু, বিপদ হয় রাতে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, রাতে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরে আসার সময় পথে কেউ বা কারা তাদের পথ আটকায়। মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর তারা রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে থাকে। পরে পুলিশ এসে দুজনকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁদের। ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগ তুলে থানার দারস্থ হয়েছে পরিবার।
ঘটনা প্রসঙ্গে মুক্তি আজমের বাবা ইউনিস আজম বলেন, “এটা কখনই দুর্ঘটনা নয়। ওদেরকে মারা হয়েছে। থানাকে গিয়ে আমি বাইকও দেখেছি। বাইকের অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে কেউ ভাঙচুর করেছে। পরিকল্পনা করেই এই খুন করা হয়েছে। আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। যথাযথ তদন্ত করে পুলিশ দোষীদের শাস্তি দিক। এটাই আমরা চাই।” খবর পেয়ে দুই মৃতের কিশোরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন। একইসঙ্গে রাজগঞ্জ থানার পুলিশকে উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতারের কথাও বলেছেন। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু হতেই জোরকদমে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো।