জলপাইগুড়ি: দিনভর ৩টি দলছুট বাইসনের তাণ্ডব চলল চা বাগানে। শ্রমিক মহল্লাতেও ছড়াল আতঙ্ক। জলপাইগুড়িতে বাইসনের হামলায় বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে একজনের। আহত ২। ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। দিনভর দাপাদাপির পর এদিন বিকেলেই বাইসনটির মৃত্যু হয়েছে। জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকের কিলকোট চা বাগানের ঘটনা। চৈতু মাহালী নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে সমগ্র চা বাগানে।
বৃহস্পতিবার সকালে কিলকোট চা বাগানের বাসিন্দারা একটি বাইসন দেখতে পান। সাতসকালে বাইসনের খবর ছড়াতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয় বাগানে। বাইসনটি বাগানের বিভিন্ন শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে দাপিয়ে বেড়াতে থাকে। সেইসময় কুঞ্জ লাইনে চৈতু মাহালী, তাঁর স্ত্রী লালকি মাহালী ও নাতি রণক মাহালীকে আক্রমণ করে বাইসনটি। স্থানীয়রা তিনজনকেই উদ্ধার করে নিয়ে যায় চালসার মঙ্গলবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। চৈতু মাহালীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা ও মেটেলি থানার পুলিশ। দিনভর বাইসনটি কুঞ্জলাইন এলাকার চা বাগানের মধ্যেই ঘোরাফেরা করতে থাকে। তাকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করেন বনকর্মীরা। এর মধ্যে একটি বাড়ির ভিতরেও ঢুকে পড়ে বাইসনটি। খবর দেওয়া হয় জলপাইগুড়ির বনকর্মীদেরও। সেখান থেকে বনকর্মীরা এসে বাইসনটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই ঝোপের মধ্যে বাইসনটির মৃত্যু হয়। পরে বনকর্মীরা বাইসনের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বাইসনের হানায় মৃত ব্যক্তির বাড়িতে যান খুনিয়া স্কোয়াডের রেঞ্জার সজল কুমার দে। তিনি জানান, মৃতের পরিবারকে সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহত দুইজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা বন দফতরের তরফে করা হবে। তবে বাইসনটির কী করে মৃত্যু হল তা জানার জন্য সেটির ময়নাতদন্ত করা হবে।