বাঁকুড়া: ফের দেশের উষ্ণতম স্থানের (Hottest City) তকমা পেল বাঁকুড়া। বৃহস্পতিবার এই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই নিয়ে একটানা তিন দিন ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে পৌঁছল বাঁকুড়ার তাপমাত্রা। অন্যদিকে, এদিন স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে ডুয়ার্স। বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হয়েছে ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লক এবং বানারহাট ব্লকে। শিলাবৃষ্টি হয়েছে কালিম্পং জেলার লাভা, লোলেগাঁও এলাকাতেও।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই দেশের উষ্ণতম জায়গার লড়াইয়ে রয়েছে বাঁকুড়া। কিন্তু ওড়িশার বারিপদা বা উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকছিল। এদিন সবাইকে পিছনে ফেলে শীর্ষে পৌঁছে গেল বাঁকুড়া। দেশের দ্বিতীয় উষ্ণতম জায়গাও বাংলার। পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উষ্ণতম শহরের তকমা যে এভাবে বাংলার কপালে জুটবে, এমন কৃতিত্ব অবশ্য বাঙালি দুঃস্বপ্নেও আশা করেনি!
তবে তীব্র দাবদাহের মধ্যে কিছুটা আশার খবর শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী রবি ও সোমবার বাংলার সব জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে কলকাতাতেও। বৃষ্টি নামলেই তাপপ্রবাহের হাত থেকে রেহাই মিলবে এবং ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে বলে আশ্বাস আবহাওয়া দফতরের। এদিনই অবশ্য স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে কালিম্পং সহ ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকায়। বলা ভাল, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছ ভুটান সীমান্ত চামুর্চি সংলগ্ন ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকা। বেশ কিছু বাড়ির টিনের চালে শিল পরে বড় বড় ছিদ্র হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বেশ কিছু এলাকা। বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হয়েছে ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লক এবং বানারহাট ব্লকেও। একইভাবে শিলাবৃষ্টি হয়েছে কালিম্পং জেলার লাভা, লোলেগাঁও এলাকায়। সবমিলিয়ে, দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চললেও প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে ডুয়ার্সবাসীর।