Jalpaiguri news: তিন মাসের মধ্যে একই বাড়িতে ঢুকে ১৪ টি মুরগিকে ছোবল দিয়েছে এই গোখরো, তারপর…

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

May 13, 2022 | 9:23 PM

Jalpaiguri news: শুক্রবার দুপুরে মুরগির তা দেওয়ার জন্য রাখা রিং এর ভেতর ঢুকে যায় একটি গোখরো। ছোবল দিয়ে মুরগিটিকে মেরে ফেলে। এরপর একে একে ছয়'টি ডিম গলাধকরণ করা পর পেট ফুলে ঢোল হয়ে যায় ওই গোখরোর।

Jalpaiguri news: তিন মাসের মধ্যে একই বাড়িতে ঢুকে ১৪ টি মুরগিকে ছোবল দিয়েছে এই গোখরো, তারপর...
গোখরো সাপ (প্রতীকী ছবি)

Follow Us

জলপাইগুড়ি: বার বার সচেতন করা হয়েছিল। এবার সেই সচেতনতা প্রচার কাজে দিল। পরিবেশকর্মীদের ডেকে গোখরো সাপকে উদ্ধার করে প্রকৃতির বুকে ফিরিয়ে দিলেন গৃহকর্তা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার রংধামালি এলাকায়। গৃহকর্তার নাম দিলীপ দাস। তিন মাসের ব্যবধানে দুই বার। একই ঘটনা। একটি গোখরো সাপ তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সাপের ছোবলে মারা যায় একের পর এক মুরগী। দিলীপ দাসের মোট ১৪ টি মুরগি মেরে ফেলে ওই গোখরো। বিশাল অঙ্কের ক্ষতি হয় দিলীপ বাবুর। কিন্তু তারপরও সাপটিকে মেরে না ফেলে মাথা শান্ত রেখে পরিবেশকর্মীদের খবর দেন দিলীপ বাবু। তাঁরা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে তাকে ফের প্রকৃতির বুকে ছেড়ে দেন।

মুরগির ডিম থেকে ছানা ফোটানোর জন্য ওই ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে থাকা একটি কুয়োর রিংয়ের ভিতর বিছুলি বিছিয়ে বিছানা বানিয়ে ডজন খানেক ডিম সমেত তাঁর পোষা মুরগিকে ডিমে তা দিতে বসিয়ে ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে সেই রিং এর ভেতর ঢুকে যায় একটি গোখরো। ছোবল দিয়ে মুরগিটিকে মেরে ফেলে। এরপর একে একে ছয়’টি ডিম গলাধকরণ করা পর পেট ফুলে ঢোল হয়ে যায় ওই গোখরোর। এরপর বিছুলির ফাঁকে লুকিয়ে পড়ে সে। এরপর পরিবার খবর দেন জলপাইগুড়ির পরিবেশকর্মী তথা সর্প বিশারদ বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীকে। তিনি গিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করেন ও সেটিকে উপযুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেন।

দিলীপ বাবুর অভিযোগ, এই প্রথম ঘটনা নয়। মাস তিনেক আগেও তার বাড়িতে ১৩ টি মুরগী ছানা জন্ম নিয়েছিল। এই গোখরো সাপটি এসে একে একে ১৩ টি ছানাকেই ছোবল দিয়ে মেরে ফেলে। আজ আবার এসে এই মুরগিটিকে মেরে তার ডিম খেয়ে নেয়। ঘটনায় পরিবেশকর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী বলেন, “মাস তিনেক আগে এই পরিবার আমাকে ফোন করেছিল। সেই সময় এই গোখরো সাপটি তার বাড়ির ১৩ টি মুরগির ছানাকে ছোবল দিয়ে মেরে ফেলে। সেই সময় আমি তাদের মধ্যে সচেতনতা প্রচার চালিয়ে অনুরোধ করে ছিলাম সাপটিকে যাতে তারা না মারে। পরিবারটি অনুরোধ রেখেছিল। আজ আবার ওই একই সাপ এসে তার বাড়ির আরও একটি মুরগিকে ছোবল দিয়ে মেরে ফেলে তার ডিম খেয়ে ফেলে। আমাকে খবর দিলে আমি গিয়ে তার বাড়ি থেকে স্পেকটিক্যাল কোবরাটিকে উদ্ধার করে পরিবেশে ছেড়ে দিই।”

Next Article