ধূপগুড়ি: একটি সরকারি নির্দেশিকা। আর ধূপগুড়িতে ফিরে এল সেই পুরনো দিনের স্মৃতি। ১ জুলাই থেকে দেশজুড়ে প্লাস্টিক বন্ধের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। আর সেই মোতাবেক শুরু হয়েছে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। তবে ধূপগুড়িতে সেই ধরনের কোনও ধরপাকড় বা অভিযান হয়নি বলে খবর।
শনিবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে মাংস এবং মাছ ব্যবসায়ীদের একাংশ অভিনব উদ্যোগ নিলেন। আর প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে নয়, বরং গাছের পাতায় মাছ-মাংস বিক্রি শুরু করেছেন তাঁরা। প্রাচীন কালে এমন ছবি দেখা যেত। কয়েক যুগ আগেও গাছের পাতাতে করে মাছ- মাংস বিক্রির প্রচলন ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে তা পাল্টে গিয়েছিল। কাগজের ঠোঙা কখনো বা প্লাস্টিকে করে মাছ-মাংস বিক্রি করা হত।
তবে সরকারি নতুন নির্দেশিকা জেরে আবার সেই দৃশ্য ফিরে এলো ধূপগুড়িতে। দেখা গেল গাছের পাতায় করে মাছ-মাংস দিচ্ছেন বিক্রেতারা। আর হাসি মুখেই তা নিচ্ছেন ক্রেতারা ।
এ দিকে, প্লাস্টিক আচমকা বন্ধ হওয়ায় কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে ব্যাগ নিয়ে আসতে চান না বাজারে, স্বাভাবিকভাবে মাছ মাংস বিক্রেতারা কিভাবে খদ্দেরদের দেবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে ছিলেন। প্লাস্টিকের পরিবর্তে বিকল্প কোনও কিছু এখনও সেই ভাবে চালু হয়নি ধূপগুড়িতে। তাই গাছের পাতাকেই বেছে নিলেন ব্যবসায়ীরা। এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্লাস্টিক বন্ধ হয়েছে। সেই কারণে মাছ-মাংস পাতাতেই বিক্রি করছি। কাস্টমাররা নিচ্ছেনও। এতে মাছ-মাংস ভাল থাকে।’
আর যা দেখে হতবাক শহরবাসী তবে ক্রেতারা। তবে উভয়েই খুশি। ক্রেতারা বলছেন যে পাতাতে মাছ মাংস নিলে সহজে নষ্ট হয় না। সম্ভাবনাও কম। আবার ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘কিছুটা হলেও অর্থ সাশ্রয় হবে। কারণ প্লাস্টিকের জন্য অতিরিক্ত পয়সা লাগত। তবে গাছের পাতার ক্ষেত্রে সেটা নয়। তবে কতদিন এই পাতায় মাছ মাংস বিক্রি চলবে তা কিন্তু সময় বলবে।’