Jalpaiguri Minor Harassment: ময়নাগুড়ি কাণ্ডে ঘটনার পুনর্নির্মাণ, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে নিয়ে যাওয়া হল ‘সেই’ গ্রামে
Jalpaiguri: পুলিশ সূত্রে খবর, ডিএসপি ক্রাইম বিক্রমজিৎ লামার নেতৃত্বে বুধবার অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয় ওই গ্রামে।
ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ি কাণ্ডে তদন্ত আরও একধাপ এগোল। মূল অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। ঘটনার যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করলেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ডিএসপি ক্রাইম বিক্রমজিৎ লামার নেতৃত্বে বুধবার অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয় ওই গ্রামে। গোটা ঘটনার ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়। ভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, অভিযুক্ত কোন রাস্তা দিয়ে এসেছিল, কোন রাস্তা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল, কীভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছিল তার সমস্তটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, তদন্ত চলাকালীন যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারণে ঘটনাস্থলে মজুত ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এদিকে, ময়নাগুড়িকাণ্ডে বুধবার নির্যাতিতার বাবার বক্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সোমবার মেয়ের মৃত্যুর পর শোকবিহ্বল বাবার দাবি ছিল, সিবিআই না আসা পর্যন্ত মরদেহ নিয়ে যাবেন না হাসপাতাল থেকে। ওই দিন পুলিশের উপর আস্থা নেই বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বয়না বদল হয় মেয়েটির বাবার। পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন এক ভিডিয়ো বার্তায়। উল্লেখ্য, ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। দু’দিন আগে পুলিশের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে যে নির্যাতিতার বাবা সিবিআই তদন্ত চাইছিলেন, হঠাৎ কী এমন হল পুলিশি-তদন্তে সুর নরম তাঁর গলায়? স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি যেদিন নির্মম ঘটনাটি ঘটে, ওই দিন নাবালিকা বাড়িতে একাই ছিল। সেই সুযোগে এক যুবক তার বাড়িতে ঢোকে। ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে পাশবিক আচরণ করে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতারও করে দু’জনকে। রাজনৈতিক ভাবে তাঁরা তৃণমূল নেতা বলে জানতে পারা যায়। অভিযোগ, ঘটনার কয়েকদিন পর মুখ ঢেকে কয়েকজন যুবক বাড়িতে ঢোকে। অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে। শাসিয়ে আসে, কথার নড়চড় হলে পরিবারের লোকজনকে মেরে ফেলবে। সেই ঘটনার পরই ভয় পেয়ে নাবালিকা গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় পরিবারকে বাঁচাতে। এরপর গত ২৫ এপ্রিল সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ মৃত্যু হয় কিশোরীর।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri Minor Harassment: একরাতে ৩ নাবালিকার ‘শ্লীলতাহানি’, পুলিশি তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য