Moynaguri Minor Harassment: ‘নির্যাতিতা’ মেয়ের মৃত্যুর ২ দিনের মধ্যেই উল্টো সুর, সিবিআই নয়, পুলিশি তদন্তেই খুশি বাবা
Moynaguri: গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ মৃত্যু হয় কিশোরীর। নির্যাতিতার বাবা সেইদিন নিজের মেয়ের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে।
ময়নাগুড়ি: সোমবারের ঘটনা। এ দিনই শেষ হয় ময়নাগুড়ির নাবালিকার একটানা ১২ দিনের লড়াই। মেয়ের মৃত্যুতে শোকবিহ্বল বাবার দাবি ছিল, সিবিআই না আসা পর্যন্ত মরদেহ নিয়ে যাবেন না হাসপাতাল থেকে। পুলিশের উপর আস্থা নেই বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এই বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বয়ান পরিবর্তন করলেন নির্যাতিতার বাবার। পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন এক ভিডিয়ো বার্তায়। উল্লেখ্য, ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। দু’দিন আগে পুলিশের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে যে নির্যাতিতার বাবা সিবিআই তদন্ত চাইছিলেন, হঠাৎ কী এমন হল পুলিশি-তদন্তে সুর নরম তাঁর গলায়? স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে।
ভিডিও বার্তায় কী বলেছেন?
‘যেদিন আমার মেয়ে মারা যায় সেদিন তো আমার মাথা ঠিক ছিল না! আমি সিবিআই সেদিন সিবিআই দাবি করেছিলাম ঠিকই। কিন্তু এখন মাথা কাজ করছে। পুলিশ আসামিদের ঠিক মতো ধরছে। আমার মেয়ে মৃত্যুর আগেও বলে গিয়েছে বাবা ওই অপরাধীদের ছাড়িস না! আমি না থাকলেও ওদের যেন ফাঁসি হয়। পুলিশের কাছে আমার আবেদন ওই অপরাধীদের যেন কঠোরতম শাস্তি হয়। তবেই মেয়ের আত্মার শান্তি পাবে। আমি পুলিশি তদন্তে বর্তমানে খুশি রয়েছি। পুলিশ সঠিক ভাবেই কাজ করছে। এখন সিবিআই আমার দরকার নেই।’
গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ মৃত্যু হয় কিশোরীর। নির্যাতিতার বাবা সেইদিন নিজের মেয়ের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। তারপর তাঁকে অভিযোগ একাধিকবার অভিযোগ করতে শোনা যায় পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকী তিনি জানান, পুলিশের উপর তাঁর ভরসা নেই। ‘আমার মেয়েটা চলে যাওয়ার আগে বলেছে, আসল আসামিকে পুলিশ ওঠায়নি। যাদের গ্রেফতার করেছে তারা নির্দোষ।’ ধনুক ভাঙা পণ নিয়ে সেই দিনই জানিয়েছিলেন ‘সিবিআই তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত দেহ সরাতে দেব না। সিবিআই যা বলবে আমি তাই করব।’ কিন্তু ঘটনার দু’দিন যেতে না যেতেই পুলিশের উপর ‘অগাধ’ আস্থা দেখে প্রশ্ন তুলছেই ওয়াকিবহাল মহল।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি যেদিন নির্মম ঘটনাটি ঘটে, ওই দিন নবালিকা বাড়িতে একাই ছিল।সেই সুযোগে এক যুবক তার বাড়িতে ঢোকে। ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে পাশবিক আচরণ করে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতারও করে দু’জনকে। রাজনৈতিক ভাবে তারা তৃণমূল নেতা বলে জানতে পারা যায়। অভিযোগ, ঘটনার কয়েকদিন পর মুখ ঢেকে কয়েকজন যুবক বাড়িতে ঢোকে। অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে।শাসিয়ে আসে, কথার নড়চড় হলে পরিবারের লোকজনকে মেরে ফেলবে। সেই ঘটনার পরই ভয় পেয়ে নাবালিকা গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় পরিবারকে বাঁচাতে। পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই দিনের পর আজ এই রকম একটি বার্তা সামনে আসতেই প্রশ্ন তাহলে কি ফের কোনও হুমকির মখে পড়তে হচ্ছে ওই পরিবারকে? চাপের মুখেই কি ভোলবদল? নাকি নির্যাতিতার বাবা সত্যি খুশি পুলিশি তদন্তে!