জলপাইগুড়ি: আবাস যোজনার (PMAY) তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ায় ভিলেজ রিসোর্স পার্সনের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার এলাকার লোকজন। কারও কারও হাতে তৃণমূলের পতাকাও দেখা যায়। এদিন পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের জমিদারপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অভিযোগ, আগের তালিকায় নাম থাকলেও তা বাদ দিয়ে দেন ভিলেজ রিসোর্স পার্সন। এরপরই সোমবার দুপুরে পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের ভিলেজ রিসোর্স পার্সন বেবি ঘোষের বাড়িতে পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখান এলাকার লোকজন। পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে উঠছে দেখে খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ দেয়।
এলাকার বাসিন্দা পিঙ্কি মাজি, শিখা দাসদের অভিযোগ, ২০১৮ সালের তালিকায় তাঁদের নাম ছিল। একাধিকবার বাড়ির সমীক্ষার কাজও হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে বলাও হয়, তাঁরা ঘর পাচ্ছেন। কিন্তু সম্প্রতি তালিকা আসতে দেখেন, তাঁদের নাম বাদ পড়েছে। তাঁদের অভিযোগ, পাকা বাড়ি যাঁদের, তাঁদের তালিকায় নাম রয়েছে। অথচ যোগ্যরা বাদ। পিঙ্কিরা জানান, “আমরা তার কারণই জানতে এসেছি”।
এদিকে ভিলেজ রিসোর্স পার্সন বেবি ঘোষ বলেন, “আমি সরকারি নির্দেশিকা মেনে কাজ করেছি। কিন্তু এখন দেখছি অনেক গরিব মানুষের নামও তালিকায় নেই। আমার বাড়িতে তাঁরা আসছেন। যদি পঞ্চায়েত প্রধানরা চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করবেন, তা হলে আর আমাদের দিয়ে সার্ভে করানোর কী অর্থ? সরকারি নির্দেশিকা মেনে কাজ করতে গিয়ে এখন আমি বিপাকে পড়লাম।”
পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেনুরঞ্জন সরকারের বক্তব্য, “২০১৮ সালের তালিকা অনুযায়ী আমাদের পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতে ৩৬৮৫ জন ঘর পাবেন। প্রথম তালিকায় রয়েছেন ১ হাজার ৭২৮ জন। এরপর দ্বিতীয় তালিকায় ১৯৫৭ জনের নাম আসবে। আমরা বোঝালেও অনেকে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। নাম তো আসবেই। তবু বিক্ষোভ চলছে।”
অন্যদিকে এদিনই জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, প্রকৃত গরিবরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর থেকে বঞ্চিত। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা।