জলপাইগুড়ি : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করার পর তাঁর বিপুল সম্পত্তিতে নজর দিয়েছে সিবিআই। কলকাতার আশেপাশে বিলাসবহুল বাগানবাড়ি থেকে বাংলো, সিবিআই-এর নজর রয়েছে প্রসন্নর সব সম্পত্তিতেই। রাজ্যের একাধিক জায়গায় তাঁর রিসর্টের খোঁজও মিলেছে। এবার সন্ধান মিলল আরও এক রিসর্টের, যার মালিক প্রসন্ন বলেই সূত্রের খবর। যদিও রিসর্টের কর্মীরা দাবি করেছেন, তাঁদের মালিক যে প্রসন্ন, সে কথা তাঁরা জানতেন না। পাশের অন্য একটি রিসর্টের মালকিন কিন্তু বলছেন প্রসন্নকে গাড়ি নিয়ে আসতে দেখেছেন তিনি।
ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের কাছেই রয়েছে হেভেন ভিউ ইন নামে ওই রিসর্ট। ওই রিসর্টের এক কর্মীকে এ প্রশ্ন করা হলে তিনি শুধু জানান, মালিককে তাঁরা কোনও দিন দেখেননি, চেনেনও না। কয়েক বিঘে জমির ওপর ওই রিসর্ট তৈরি বলে জানিয়েছেন তিনি। এর বেশি কেউ কথা বলতে চাননি। আপাতত রিসর্ট জনমানব শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তবে রিসর্টের সামনের একটি দেওয়াল দেখলে বোঝা যাবে, সাদার রঙ দিয়ে কিছু একটা ঢেকে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। আসলে ওই জায়গায় কোনও একটি ফোন নম্বর লেখা ছিল বলে সূত্রের খবর।
তবে ওই রিসর্টের মালিক যে প্রসন্ন রায়, এমনটাই বলছেন পাশের অপর একটি রিসর্টের মালকিন কল্পনা মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, ২০০০ সালে জমি কিনে রিসর্ট বানানোর কাজ শুরু হয়। এরপর তিনবার হাত বদল হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। মাঝে মধ্যে প্রসন্নকে রিসর্টে আসতে দেখেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, রিসর্টের ছাদ দেখে তিনি দেখেছেন প্রসন্ন গাড়ি নিয়ে আসতেন, তবে বেশিক্ষণ থাকতেন না। সন্ধ্যায় এসে রাত কাটিয়েই চলে যেতেন তিনি।
প্রসন্ন গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে ওই রিসর্ট কার্যত বন্ধ বলেই জানা গিয়েছে। তারপরই ওই ফোন নম্বর মোছা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
উত্তরবঙ্গে মূর্তি ও চিলাপাতার জঙ্গলের কাছেও প্রসন্নর রিসর্ট আছে বলে সূত্রের খবর। তবে হোটেল মালিকদের অ্যাসোসিয়েশনে নাকি নেই ওই সব রিসর্টের কোনও প্রতিনিধি। মালিকের নাম নিয়ে ধোঁয়াশাও ছিল। তবে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর, ক্রমশ জানা যাচ্ছে, ওই সব রিসর্টের মালিক প্রসন্নই।
এ দিকে, কলকাতা ও তার আশপাশেও রয়েছে প্রসন্নর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা চালিয়ে কী ভাবে তিনি এক সম্পত্তির মালিক হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, সল্টলেকে তাঁর অফিসেই নাকি নিয়োগ সংক্রান্ত অবৈধ লেনদেনের রফা হত। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগ ছিল বলেই অনুমান গোয়েন্দাদের। আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
জলপাইগুড়ি : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করার পর তাঁর বিপুল সম্পত্তিতে নজর দিয়েছে সিবিআই। কলকাতার আশেপাশে বিলাসবহুল বাগানবাড়ি থেকে বাংলো, সিবিআই-এর নজর রয়েছে প্রসন্নর সব সম্পত্তিতেই। রাজ্যের একাধিক জায়গায় তাঁর রিসর্টের খোঁজও মিলেছে। এবার সন্ধান মিলল আরও এক রিসর্টের, যার মালিক প্রসন্ন বলেই সূত্রের খবর। যদিও রিসর্টের কর্মীরা দাবি করেছেন, তাঁদের মালিক যে প্রসন্ন, সে কথা তাঁরা জানতেন না। পাশের অন্য একটি রিসর্টের মালকিন কিন্তু বলছেন প্রসন্নকে গাড়ি নিয়ে আসতে দেখেছেন তিনি।
ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের কাছেই রয়েছে হেভেন ভিউ ইন নামে ওই রিসর্ট। ওই রিসর্টের এক কর্মীকে এ প্রশ্ন করা হলে তিনি শুধু জানান, মালিককে তাঁরা কোনও দিন দেখেননি, চেনেনও না। কয়েক বিঘে জমির ওপর ওই রিসর্ট তৈরি বলে জানিয়েছেন তিনি। এর বেশি কেউ কথা বলতে চাননি। আপাতত রিসর্ট জনমানব শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তবে রিসর্টের সামনের একটি দেওয়াল দেখলে বোঝা যাবে, সাদার রঙ দিয়ে কিছু একটা ঢেকে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। আসলে ওই জায়গায় কোনও একটি ফোন নম্বর লেখা ছিল বলে সূত্রের খবর।
তবে ওই রিসর্টের মালিক যে প্রসন্ন রায়, এমনটাই বলছেন পাশের অপর একটি রিসর্টের মালকিন কল্পনা মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, ২০০০ সালে জমি কিনে রিসর্ট বানানোর কাজ শুরু হয়। এরপর তিনবার হাত বদল হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। মাঝে মধ্যে প্রসন্নকে রিসর্টে আসতে দেখেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, রিসর্টের ছাদ দেখে তিনি দেখেছেন প্রসন্ন গাড়ি নিয়ে আসতেন, তবে বেশিক্ষণ থাকতেন না। সন্ধ্যায় এসে রাত কাটিয়েই চলে যেতেন তিনি।
প্রসন্ন গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে ওই রিসর্ট কার্যত বন্ধ বলেই জানা গিয়েছে। তারপরই ওই ফোন নম্বর মোছা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
উত্তরবঙ্গে মূর্তি ও চিলাপাতার জঙ্গলের কাছেও প্রসন্নর রিসর্ট আছে বলে সূত্রের খবর। তবে হোটেল মালিকদের অ্যাসোসিয়েশনে নাকি নেই ওই সব রিসর্টের কোনও প্রতিনিধি। মালিকের নাম নিয়ে ধোঁয়াশাও ছিল। তবে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর, ক্রমশ জানা যাচ্ছে, ওই সব রিসর্টের মালিক প্রসন্নই।
এ দিকে, কলকাতা ও তার আশপাশেও রয়েছে প্রসন্নর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা চালিয়ে কী ভাবে তিনি এক সম্পত্তির মালিক হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, সল্টলেকে তাঁর অফিসেই নাকি নিয়োগ সংক্রান্ত অবৈধ লেনদেনের রফা হত। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগ ছিল বলেই অনুমান গোয়েন্দাদের। আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি।