জলপাইগুড়ি : অকথ্য ভাষায় বাড়ির সামনে গালিগালাজ করেছেন কয়েকজন যুবক। থামার নাম নেই। এ ছবি দেখলে যে কোনও বাড়ির মালিকই বিরক্ত হবেন। বিরক্ত হয়েছিলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জের ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা দীপক রায়ও। অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁর বাড়ির সামনে ঝামেলা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল তিন জন যুবক। বাড়ির সামনে এই কাণ্ড দেখে বেরিয়ে আসেন দীপক রায় এবং তার দাদা বিকাশ রায়। তিন যুবকের সঙ্গে বচসাও শুরু হয় তাঁদের। এরপর আচমকাই তিন যুবকের মধ্যে এক যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে দীপক রায়ের উপর কোপ বসালে তাঁর বাম কান দু টুকরো হয়ে যায়। সেই সময়ই অন্য এক যুবক দীপক রায়কে গালে কামড় বসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দীপক। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। লোকজন দেখেই তিন যুবক গা ঢাকা দেয় অন্ধকারে। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা আক্রান্ত যুবকের প্রতিবেশী। ইতিমধ্যেই রবি রায়, শঙ্কর রায় সহ আরও একজনের নামে আমবাড়ি ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করেছেন দীপক।
তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক তিন অভিযুক্ত। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে প্রতিবাদ করার কারণেই দীপকের উপর হামলা নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত যুবক দীপক রায় বলেন, “আমাদের বাড়ির সামনে কেন ওরা তিন জন জড়ো হয়েছিল জানি না। কিন্তু, প্রচুর গালাগালি করছিল। আমি গিয়ে প্রতিবাদ করতেই আমার উপর চড়াও হয়। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তারপরেই একজন কামড়ে দিল, আর একজন দা দিয়ে আমার কানে মারল। আমার কান কেটে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।”
আক্রান্ত যুবকের স্ত্রী সবিতা রায় বলেন, “আমরা কাল রাতে বাড়িতেই ছিলাম। ওরা আমাদের বাড়ির সামনের গেটে আচমকা গালাগালি শুরু করে। আমার স্বামী গিয়ে ওদের থামতে বলে। কিন্তু, ওরা কথা শোনেনি। আমার স্বামীর সঙ্গে বচসা শুরু হয়। তখনই ওদের মধ্য থেকে একজন ওর গালে কামড়ে দেয়। আর একজন পিছন থেকে অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। কান কেটে গিয়েছে। আমার দাদাকেও হাতে কামড়ে দিয়েছে। কেন ওরা আচমকা এরকম করল আমরা জানি না। আমরা থানায় তিনজনের নামেই লিখিত অভিযোগ করেছি।”