জলপাইগুড়ি : সম্প্রতি দিল্লির (Delhi) সুলতানপুরী এলাকায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। বর্ষবরণের দিন দিল্লির সুলতানপুরী এলাকায় বছর কুড়ির এক যুবতীর স্কুটিতে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। ধাক্কার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে স্কুটি থেকে পড়ে গিয়ে ঘাতক গাড়ির চাকায় জডিয়ে যায় ওই তরুণী। তবে তাতেও কমেনি গাড়ির গতি। ওই অবস্থাতেই তরুণীকে টানতে টানতে ১২ কিলোমিটার যায় গাড়িটি। মৃত্যু হয় যুবতীর। এই দৃশ্য দেখেই শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার যেন এই ঘটনারই প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল বাংলায়। শনিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের বুকে ঘটে গেল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। অ্যাম্বুলেন্সের তলায় আটকে গেল সাইকেল আরোহী। তবে একটুর জন্য প্রাণে বাঁচলেন যুবক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার কদমতলা মোড় সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে ৩ নম্বর ঘুমটির দিকে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন মহামায়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা দেবব্রত দাস নামে এক যুবক। সেই সময় পিছন থেকে দ্রুত গতিতে একটি অ্যাম্বুলেন্স এসে তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। সাইকেল সমেত অ্যাম্বুলেন্সের নীচে ঢুকে যান দেবব্রত। গাড়ির তলাকে আটকে যায় তাঁর একটা পা। তবে একটাই রক্ষা, তাঁকে নিয়ে দিল্লির মতো চলতে শুরু করেনি চারচাকা। এ দৃশ্য দেখার পরেই ছুটে আসেন ওই সময় এলাকায় থাকা পথচারীরা। তাঁরই হাত লাগিয়ে কোনও অ্যাম্বুলেন্সের তলা থেকে বের করে আনেন দেবব্রতকে। তবে ততক্ষণে গাড়ি ফেলে চম্পট দিয়েছে চালক। মারাত্মকভাবে জখমও হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর সাইকেলটিও একেবারে দুমরে-মুচড়ে গিয়েছে।
খবর যায় পুলিশে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সটিকে। ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “ছেলেটা রাস্তার একপাশ দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল। তখনই অ্যাম্বুলেন্সটা পিছন থেকে ধাক্কা মারে। মুহূর্তে ছেলেটা অ্যাম্বুলেন্সের তলায় চলে যায়। একটা পা আটকে যায়। ঘটনা দেখা মাত্রই এলাকার লোকজন ছুটে গিয়ে ছেলেটাকে বাঁচায়। ততক্ষণে গাড়ি ফেলে রেখে চালক চম্পট দিয়েছে। ড্রাইভারের দোষেই এ ঘটনা ঘটেছে। তবে আহত ছেলেটার নাম পরিচয় এখনও দেখা যায়নি।” এদিকে দিনেদুপুরে একেবারে শহরের বুকে ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির নাগরিক মহলে।