বানারহাট: তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার মৃত্যুর ৭২ঘণ্টার মধ্যে তার ছায়াসঙ্গীর মৃত্যু। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বানারহাটের গয়েরকাটার তেলিপাড়া এলাকায়। হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করে বাড়ি ফিরিয়ে আনলেন মৃতের পরিবার বিতর্ক। ঘটনাস্থলে বানারহাট থানার পুলিশ (Banarhat Police)।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বানারহাট ব্লকের সাকোয়াঝোড়া ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্যা সীমা দাসের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আরও এক তৃণমূল নেতার মৃত্যু। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়ির থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকতেন তার একসময়ের ছায়াসঙ্গী বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা কৌশিক গুনের। শনিবার ভোরে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় বলে সূত্রের খবর। আর সেই মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
পরিবারের দাবি কৌশিক গুন শৌচকর্ম করতে যাওয়ার সময় বাথরুমের কাছে আচমকা পড়ে যায়। এরপর তেলীপাড়া থেকে বিরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার পর মৃত বলে ঘোষণা করে দেয়। এদিকে পরিবারের দাবী হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার ফলে যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মৃত্যুর খবর শুনতেই মৃত তৃণমূল নেতার বাড়িতে পৌঁছে যান বানারহাট ব্লক সভাপতি সীমা চৌধুরী, গোপাল চক্রবর্তী ও অন্যান্যরা। পরপর দু’জন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর পর এলাকা জুড়ে চলছে গুঞ্জন। সঙ্গীতা গুন নামে মৃতের আত্মীয় বলেন, “আমরা ময়নাতদন্ত করতে বলেছিলাম। কিন্তু মৃতের স্ত্রী ও ছেলে ময়নাতদন্ত করার বিরুদ্ধে ছিল। তাই আমরাও আর জোর করিনি।” আলিপুরদুয়ার এর সিএমওএইচ সুমিত গাঙ্গুলী বলেন, “যদি কোনও রোগীর হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তাহলে সেটার ময়নাতদন্ত করতে হয়। তবে এবিষয়ে আমার জানা নেই আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।”
বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেত্রী সীমা চৌধুরী বলেন, “আমাদের তৃণমূল একনিষ্ঠ কর্মী ছিল কৌশিক। খুব সক্রিয় কর্মী ছিল। বিপদে আপদে মানুষের পাশে দাঁড়াত। আমরা পরিবারের পাশে আছি। দলের খুব একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেল। পরিবারের কাছ থেকে জানতে পেরেছি হার্ট অ্যাটাকে নাকি মৃত্যু হয়েছে তার। এর বেশি কিছু জানি না।”