জলপাইগুড়ি: মাঝ রাতে গ্যারেজ থেকে বাইক নিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় গাড়ির চাবি হঠাৎ নিতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের জামাই পবিত্র বর্মণ। দশমীর রাতে হুলুস্থুল কাণ্ড জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে।
জানা গিয়েছে, দশমীর রাত্রিবেলা তাঁর বাড়ির গ্যারেজে ঢুকে যায় একটি বড়সড় গোখরো সাপ। আশ্রয় নেয় বাড়িতে থাকা বাইকের সামনে। রাতে বাইকটি নিতে যান বিধায়কের ছোট জামাই পবিত্র বর্মণ। তিনিই সাপটিকে প্রথমে দেখতে পান। সেই সময় রাজগঞ্জের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন খগেশ্বরবাবু। বাড়ির সদস্যরা তাঁকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। মুহূর্তে খবর চাউর হয়ে যায়।
খবর পেয়ে গভীর রাতে বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছন রাজগঞ্জের বিডিও পংকজ কোনার। ততক্ষণে চলে আসেন পরিবেশ কর্মীরা। আসেন বিধায়কের প্রচুর অনুগামীরা। এরপর পরিবেশ কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে প্রথমে বাড়িতে উপস্থিত সকলের মধ্যে গোখরো সাপ নিয়ে সচেতনতা প্রচার করেন। এরপর বাড়ির কাছেই একটি জঙ্গলে ছেড়ে দেন।
বিধায়ক খগেশ্বর রায় জানান, পুজোর জন্য নাতিকে নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন তাঁর ছোট মেয়ে ও জামাই। দশমী উপলক্ষে রাতে বাড়ির সামনেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছিল। তিনি সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। এর মধ্যেই খবর আসে ছোট জামাই সাপের মুখোমুখি হয়েছে। সঙ্গে-সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পরিবেশ কর্মীদের। তারাই এসে মাঝরাতে সাপটিকে ধরে যায়।