জলপাইগুড়ি: স্কুটির ভিতর থেকে উদ্ধার হল বিরল প্রজাতির বিষাক্ত সাপ গ্রীন পিট ভাইপার। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালবাজার ওদলাবাড়ি এলাকায়। এদিন ওদলাবাড়ি একটি গ্যারেজে এই স্কুটি ঠিক করতে আসে পাহাড়ের এক বাসিন্দা। স্কুটির কিছু একটা সমস্যা দেখা দিয়েছিল, গ্যারেজ কর্মীরা স্কুটি সামনে লাইটের বক্স খুলতেই চমকে ওঠেন। স্কুটির মধ্যে থাকা লাইট বক্সের ভেতরে পেঁচিয়ে ছিল সাপটি।
গ্য়ারেজ কর্মীরা জানাচ্ছেন, সবুজ রঙের একটি আড়াই ফুট লম্বা কুন্দুলি পাঁকিয়ে ছিল স্কুটির ভেতরে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটি বিরল প্রজাতির সাপ। বাংলায় সবুজে বোড়া এবং ইংরেজিতে গ্রিন পিট ভাইপার নামে পরিচিত। এই সাপ সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় এবং চা বাগানের মধ্যে বসবাস করে। গ্রামীণ কিংহা শহুরে এলাকায় এই সাপের দেখা পাওয়া যায় না । গ্রীন পিট ভাইপার অর্থাৎ সবুজ বোড়া সাপ অন্যান্য সাপের মতো ডিম দেয় না, এরা বাচ্চা প্রসব করে। এই সাপ দেখতে অনেকটা নির্বিষ লাউডগা সাপের মতো। তবে মাথার আকৃতি লাউডগা সাপের থেকে আলাদা এবং বিষাক্ত হয়।
গ্যারেজের মালিক রাজেস মন্ডল বলেন, “সোমবার দিন দুপুর নাগাদ পাহাড়ি এলাকা থেকে এক ব্যাক্তি দোকানে স্কুটি রেখে চলে যান। বলে যায় স্কুটিটি ঠিকঠাক করে রাখতে। আমার এক কর্মচারী যখন স্কুটির সামনের ঢাকনা খুলে, তখন দেখতে পায় সবুজ রঙের একটি সাপ দলা পাঁকিয়ে রয়েছে। স্কুটি ছেড়ে পালিয়ে যান সব কর্মীরা।”
ওদলাবাড়ির একটি সংগঠনের সদস্যদের কাছে খবর যায়। ন্যাসের সদস্য আশিক আলি এবং অন্য সদস্যরা অনেক চেষ্টার পর অবশেষে সাপটিকে প্লাস্টিকের জারে বন্দি করেন। ন্যাসের সদস্য আশিক আলি বলেন, “প্রাথমিক ভাবে ভেবেছিলাম এটি লাউডোগা সাপ কিন্তু পরে দেখতে পারি এটা বিষাক্ত সাপ। তাও আবার পাহাড়ি এলাকার।” সাপটিকে উদ্ধার করে পাহাড়ি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।