SSC Recruitment Case: ৫ বছরের লড়াই সার্থক, হাইকোর্টের নির্দেশের পরই স্কুলে যোগ দিলেন ৭ শিক্ষক

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 27, 2022 | 4:48 PM

SSC Recruitment Case: জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার সাতজন রবিউল ইসলাম, নির্মল দাস, সুমন সরকার, সৌরব হোসেন, সৌমিত্র অধিকারী,সুমিত্রা সাহা ও পূর্নিমা মণ্ডল চাকরিতে যোগ দিলেন।

SSC Recruitment Case: ৫ বছরের লড়াই সার্থক, হাইকোর্টের নির্দেশের পরই স্কুলে যোগ দিলেন ৭ শিক্ষক
চাকরিতে যোগ দিলেন সাত শিক্ষক

Follow Us

জলপাইগুড়ি: হাইকোর্টের নির্দেশে জলপাইগুড়ি জেলায় ৭ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দিলেন । যার মধ্যে চার জন ধূপগুড়ি এবং বানারহাট ব্লকের স্কুলে যোগ দিয়েছেন, তিনজন জলপাইগুড়িতে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল। পরে সেটি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। পর্ষদ ভুলও স্বীকার করে নেয়।

৫ বছর ধরে চলে সেই মামলা। দীর্ঘদিন ধরেই সেই মামলার শুনানি চলার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত ৬ সেপ্টেম্বর রায় দিয়েছিলেন সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে মামলাকারীদের চাকরিতে যোগদান করাতে হবে।

হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি জেলায় ৭ জন নতুন শিক্ষক চাকরিতে যোগ দিলেন। যাদের মধ্যে চারজন ধূপগুড়ি ব্লক এবং বানারহাট ব্লকে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এবং তিন জন জলপাইগুড়ির স্কুলে যোগ দেন বলে সূত্রের খবর।

সোমবার ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ১ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের কাজিপাড়া শিক্ষা নিকেতন সি এস প্রাইমারি স্কুলে যোগদান করেন নির্মল দাস ও বারঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোড়াগাড়ি ১ নম্বর বিএফপি বিদ্যালয়ে যোগদান করেন সুমন সরকার। এছাড়াও আরো দুজন এদিন গয়েরকাটা এবং ধূপগুড়ি সার্কেলে স্কুলে যোগদেন।

কাজিপাড়া শিক্ষা নিকেতন সি এস প্রাইমারি স্কুল এতদিন একাই সামলাচ্ছিলেন আব্দুল সাত্তার । যে কারণে স্কুলে নতুন শিক্ষক আসায় খুশি তিনি। ঠিক পুজোর মুখে চাকরিতে যোগ দিতে পারায় খুশি সেই সমস্ত শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি আনন্দিত সেই সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকরাও।

জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার সাতজন রবিউল ইসলাম, নির্মল দাস, সুমন সরকার, সৌরব হোসেন, সৌমিত্র অধিকারী,সুমিত্রা সাহা ও পূর্নিমা মণ্ডল চাকরিতে যোগ দিলেন। স্বাভাবিক ভাবে চাকরি পাওয়ায় খুশি শিক্ষকদের পরিবারও।

কোর্টের নির্দেশে চাকরি পাওয়া নির্মল দাস মঙ্গলবার কাজিপাড়া শিক্ষা নিকেতন সি এস প্রাইমারি স্কুলে যোগ দিয়ে বলেন, “আমরা দারুণ খুশি পাঁচ বছর আমাদের আদালতের লড়াইয়ের পর ন্যায়বিচার পেয়েছি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের কাছের ভগবান তুল্ল। তার এই নির্দেশের পর বিচার ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা আরও বেড়ে যাবে।”

কোর্টের নির্দেশে ধূপগুড়ি তে চাকরি পাওয়া আরেক শিক্ষক সুমন সরকার বলেন, “২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ভুল থাকায় অনেকেই বঞ্চিত হয়েছিলেন। সেই বঞ্চিতদের মধ্যে আমরাও ছিলাম।তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম । আদালতের নির্দেশে আমরা চাকরিতে যোগ দিতে পারলাম। আমরা এবং আমাদের পরিবার দারুন খুশি পুজোর আগে আমরা চাকরি পাওয়ায়।”

Next Article