Tea Garden Closed: মাথায় ‘বজ্রপাত’ ১ হাজার ১৭৬ শ্রমিকের, অভিষেক যাওয়ার ১ মাসের মধ্যে ফের বন্ধ চা-বাগান
Dooars: ঘটনাটি বানারহাট ব্লকের দেবপাড়া চা বাগানের। সেখানে কারখানা গেটে বিক্ষোভ শ্রমিকদের। শনিবার সকালবেলা নিত্যদিনের মতো শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে যান।
ডুয়ার্স: সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলা সফরে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেন তিনি। এমনকী বাম জামানায় শ্রমিকরা কত মজুরি পেতেন আর এখন কত পান সেই খতিয়ানও তুলে ধরেন তৃণমূল নেতা। একদিকে অভিষেক যখন মজুরি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তখন চা বলয়ে বন্ধ হল একটি চা বাগান। রাতের অন্ধকারে চা বাগান ছেড়ে পালানোর অভিযোগ কর্তৃপক্ষ বিরুদ্ধে। যার জেরে কর্মহীন হয়ে প্রায় ১ হাজার ১৭৬ জন শ্রমিক।
ঘটনাটি বানারহাট ব্লকের দেবপাড়া চা বাগানের। সেখানে কারখানা গেটে বিক্ষোভ শ্রমিকদের। শনিবার সকালবেলা নিত্যদিনের মতো শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন চা-বাগানের কারখানার গেটে তালা মারা রয়েছে। তখনই তাঁরা বুঝতে পারেন বাগান মালিক বাগান ছেড়ে পালিয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন শ্রমিকরা বানারহাট থানায় নোটিশ দিয়েই চলে গিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ।
বস্তুত, শুক্রবারই আলিপুরদুয়ারে খোলে কোহিনুর চা বাগান। এই চা বাগান খোলার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee) বলে দাবি তৃণমূলের। অভিষেকের নির্দেশেই এই বাগান খুলতে উদ্যেগী হন তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক। আলিপুরদুয়ার এসে তিনি ওই বাগান খোলার কথা দিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। একদিকে, যখন আলিপুরদুয়ারে বাগান খুলছে তখন পাশের জেলায় বন্ধ হচ্ছে চা বাগান।
এ দিন, সকালবেলা চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে বাগানের গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক নোটিশ দেখতে পায়। নোটিশে উল্লেখ রয়েছে, ‘আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চা বাগান বন্ধ। আর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাগান এলাকায়।’ ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি রাজেশ লাকরা। বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে চলছে মিটিং। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি রাজেশ লাকরা হুশিয়ারি দিয়েছেন বাগান খোলার জন্য প্রয়োজনে বাগান মালিকের বাড়ির সামনেও ধরনা দিবেন তারা।