জলপাইগুড়ি: জলাশয় ভরাট করার বিরুদ্ধে আজকে নয়, একাধিকবার বারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কোথায় কী! তার তার হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়েই চলছে সরকারি জায়গা দখল করে জলাশয় ভরাট। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ঘটনা।
মুখ্যমন্ত্রী যখন বারবার জলাশয় ভরাট ও সরকারি জায়গা দখলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের, ঠিক তখনই তাঁর হুঁশিয়ারিকে কোনও তোয়াক্কা না দিয়েই পুলিশি চেকপোস্টের পাশেই চলছে সরকারি জায়গা টিনের বেড়া দিয়ে দখল করে জলাশয় ও ডোবা ভরাটের কাজ। আর এই কাজ করছেন জমি মাফিয়ারা। কখনো মোটা টাকার বিনিময়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশে কখনো বা আবার মার্শাল পাওয়ার ব্যবহার করে সরকারি জায়গা দখল করা হচ্ছে। আর তারপর সেটি বিক্রি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে।
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাঁর সফরকালেই হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে চলছে এই ভাবে প্রকাশ্যে সরকারি জায়গা দখলের ঘটনা চলছে অহরহ। ফলত প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে প্রশাসনের ভূমিকাকে।
পরিবেশ প্রেমীদের অভিযোগ, মূলত এই ভাবেই সরকারি জায়গাগুলিকে টিনের বেড়া দিয়ে অথবা খুঁটি পুতে প্রথমে দখল নেয় মাফিয়ারা। এরপর পিশি বলের সাহায্যে অথবা অর্থের বিনিময়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশে সেই জায়গাগুলো দখল করে পরে চড়া দামে বিক্রি করে দেয়।
ফলত প্রশ্ন উঠছে এই নির্দেশ কি শুধু কাগজে কলমে ? নাকি নির্দেশগুলি শুধুমাত্র নিরীহ সাধারণ মানুষের জন্য? কেন না বিভিন্ন ছোটখাটো বিষয়ে যখন কঠোর হতে দেখা যায় পুলিশ প্রশাসনকে তখন জলাশয় ভরাট বা সরকারী জমি দখলের ক্ষেত্রে কেন নিশ্চুপ প্রশাসন? নাকি একশ্রেণীর প্রশাসনিক আধিকারিকদের মতই চলছে এই সমস্ত অবৈধ কাজ? ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিং কুমার বলেন, “গোটা বিষয় প্রশাসন অবশ্যই দেখবে। এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেই বিষয়েও নজর দেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন: Sanjay Raut: ‘সেই রাতেই আমি অমিত শাহকে ফোন করেছিলাম…’, চাঞ্চল্যকর দাবি সাংসদের