ধূপগুড়ি: শনিবার ও রবিবার পরপর ছুটি ছিল ব্যাঙ্কে। আর সেই ছুটির পর সোমবার সকালে ব্যাঙ্কের দরজা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ কর্মীদের। দেওয়াল ভেঙে, ইট সরিয়ে চুরি হয়েছে ব্যাঙ্কে। ধূপগুড়ির এই সমবায় ব্যাঙ্কে এমন ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। গত দেড় বছরে পরপর তিনবার একই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ব্যাঙ্ক কর্মীদের যোগসাজস রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তে নেমেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।
ধূপগুড়ি ব্লকের সজনা পাড়া এলাকার ঘটনা। সমবায় ব্যাঙ্ক বা কৃষি উন্নয়ন সমিতির একটি সিএসপি সেন্টারে এই ঘটনা ঘটেছে। ব্যাঙ্কের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে দুবার চুরির ঘটনা ঘটলেও, তা থেকে কেন শিক্ষা নেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন তুলছেন গ্রাহকেরা। অভিযোগ, ব্যাঙ্কের অন্যান্য জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বাসানো হলেও ক্যাশ লকারের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোনও ক্যামেরা নেই। মূলক এলাকার কৃষকেরা এই ব্যাঙ্কে সঞ্চিত অর্থ রাখেন। তাঁদের প্রশ্ন, তাহলে কি ব্যাঙ্ক কর্মীদের একাংশের যোগসাজস রয়েছে এই চুরির ঘটনার পিছনে?
ঘটনায় ৪৯ হাজার ৯৮৪ টাকা খোয়া গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার কাশীরাম রায়। প্রতিদিনের মতো এ দিন সকালে ব্যাঙ্ক খুলতে গিয়ে আধিকারিকেরা দেখেন জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এরপর এই ঘটনা জানাজানি হতেই খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হযন ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা। ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপারও।
ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ ধূপগুড়ি থানার আইসি নিজে খতিয়ে দেখেন। তবে ক্যামেরা না থাকায় ওই ঘরের কোনও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। পুলিশের অনুমান, রবিবার দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর,এর আগেই পুলিশ নির্দেশ দিয়েছিল, ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে হার্ডডিস্ক নিরাপদ স্থানে বসিয়ে ভালভাবে লক করে রাখতে হবে। ব্যাঙ্ক সেই নির্দেশ না মানায় চুরির কিনারা করতে পুলিশকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ধূপগুড়ি থানার পুলিস সূত্রে খবর,অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।