ময়নাগুড়ি: কিছুদিন আগেই জলপাইগুড়ির এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢুকে কেপমারির ঘটনা ঘটেছিল। আর এবার ফের কেপমারি জেলায়। এবারের টার্গেট ফের ময়নাগুড়ির এক সোনার দোকান। এই নিয়ে গত সাত দিনের মধ্যে ময়নাগুড়ি শহরে দু’টি সোনার দোকানে কেপমারির ঘটনা ঘটল। এর আগের সোনার দোকানে কেপমারির ঘটেছিল ছিল ১৬ মার্চ। ময়নাগুড়ি বাজার এলাকায়। আর আজ ময়নাগুড়ির জল্পেশ মোড়ের কাছে এক সোনার দোকানে কেপমারির অভিযোগ। দু’টি সোনার দোকানেই প্রায় একই কায়দায় কেপমারি। শুক্রবার দুপুরে জল্পেশ মোড়ের ওই গহনার দোকানের একেবারে সামনে থেকে সোনা ও রুপোর গয়না ভর্তি ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় কেপমারের দল।
ময়নাগুড়ির জল্পেশ মোড়ের কাছে একটি সোনার দোকান রয়েছে ব্যবসায়ী দেবাশিস কর্মকারের। প্রতিদিনের মতো আজও সকালে নির্দিষ্ট সময়েই দোকান খুলতে আসেন তিনি। হাতে ছিল একটি ব্যাগ। তাতে অর্ডারের সোনার গয়না, রুপোর গয়না ভর্তি। সেই ব্যাগ নিয়ে যখন তিনি দোকানের সামনে আসেন, তখন তিনি খেয়াল করেন দোকানের তালার মধ্যে কেউ বা কারা বালি-পাথর ও আঠা জাতীয় কিছু ঢুকিয়ে রেখেছে। যার জন্য তালার মধ্যে চাবি ঢুকছিল না। ফলে নিয়ে ব্যাগটি রেখে পাশের দোকানে যান জল আনতে। ভেবেছিলেন জল ঢেলে তালা পরিষ্কার করবেন। আর এর মধ্যে যা ঘটার ঘটে যায়। যেই তিনি ব্যাগ রেখে পাশের দোকানের দিকে গিয়েছেন, অমনি এক কেপমার তার ব্যাগ নিয়ে ছুট লাগায়।
চোখের সামনে ব্যাগ নিয়ে পালাতে দেখামাত্রই ওই কেপমারের পিছন পিছুন ছোটেন ব্যবসায়ী দেবাশিসবাবুও। কিন্তু কিছুদূর এগোতেই ওই কেপমারের এক সঙ্গী বাইক নিয়ে অপেক্ষা করছিল রাস্তায়। ব্যস চোখের নিমেষে, ব্যাগ ভর্তির গয়না নিয়ে পাখি ফুরুৎ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দেবাশিস কর্মকার নামে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী ইতিমধ্য়েই পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীর দাবি অনুযায়ী, ব্যাগে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার গয়নার অর্ডার ছিল। এদিনের কেপমারির অভিযোগ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সমীর আহমেদ জানিয়েছেন, ‘ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ তদন্তে নেমেছে। কিছু ক্লু ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। আশা করছি চোর দ্রুত ধরা পড়বে।’