Jalpaiguri: ‘সরকারের দাদাগিরি চলবে না’, আগামী সপ্তাহেই টোটো ধর্মঘটের ডাক
Toto Strike in Jalpaiguri: দীর্ঘ সময় ধরে বিক্ষোভ চলল জলপাইগুড়ির ডিএম অফিসে। আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, এক হাজার নয় নিতে হবে ৫০০ টাকার রেজিস্ট্রেশন ফি। একইসঙ্গে নতুন ই-রিক্সা কেনার জন্য সহজ শর্তে সরকারি ভর্তুকিতে ঋণের ব্যবস্থা করারও দাবি ওঠে।

জলপাইগুড়ি: ৩০ নভেম্বরের মধ্যে করতে হবে রেজিস্ট্রেশন। আর রেজিস্ট্রেশন না হলে আর রাস্তায় নামতে পারবে না কোনও টোটো। কিছুদিন আগেই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। রেজিস্ট্রেশন ফি বাবাদ দিতে হবে ১ হাজার টাকা। আর এই অঙ্কটা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা যদিও সাফ বলে দিয়েছেন আসন্ন ভোটের আগে কারও এই টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার দরকার নেই। এবার সরকার নির্ধারিত ফি-র প্রতিবাদে মাঠে নামলেন সিটু প্রভাবিত টোটো চালক ইউনিয়নের সদস্যরা।
দীর্ঘ সময় ধরে বিক্ষোভ চলল জলপাইগুড়ির ডিএম অফিসে। আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, এক হাজার নয় নিতে হবে ৫০০ টাকার রেজিস্ট্রেশন ফি। একইসঙ্গে নতুন ই-রিক্সা কেনার জন্য সহজ শর্তে সরকারি ভর্তুকিতে ঋণের ব্যবস্থা করারও দাবি ওঠে। এই দাবিতে আরটিও-কে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রশাসন তাঁদের কথা না শুনলে আগামী সপ্তাহে জেলাজুড়েই টোটো ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে সংগঠনের তরফে। যদিও বনধের বিরোধিতায় এখন থেকেই সুর চড়াতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসকদল। রাজৈনিত মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
সিটুর রাজ্য কমিটির সদস্য শুভাশিস সরকার বলছেন, “টোটো চালকদের রেজিস্ট্রেশন ফি হোক আমরা চাই। কিন্তু বছর বছর ওই বড় অঙ্কের টাকা টোটো চালকরা রাজি নয়। ওরা এককালীন ৫০০ টাকা দিতে রাজি আছে। একক্ষেত্রে সরকারের দাদাগিরি চলবে না। তা ছাড়াও পৌরসভাগুলি প্রতি বছরই টোটো চালকদের থেকে টাকা তুলেছে। এই টাকা ফেরত দিয়ে দিতে হবে। কারণ পৌরসভার আওতায় তো টোটোগুলি থাকছে না। আমরা প্রশাসনকে বললাম, যদি কোনও সিদ্ধান্ত না হয় তাহলে আগামী সপ্তাহে আমরা টোটো ধর্মঘটে যাচ্ছি।”
যদিও পাল্টা সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল। INTTUC-র টাউন ব্লক সভাপতি পুন্যব্রত মিত্রর স্পষ্ট কথা, “ওদের ডেপুটেশনে তো আজ একশোটা মতো লোক ছিল। মুখ্যমন্ত্রী কোনওদিন চান না কোনও শ্রমদিবস নষ্ট করে ধর্মঘট হোক। আমরাও সাংগঠনিকভাবে কোনওদিন সেই ধর্মঘটকে সমর্থন করব না। আপনারা দেখবেন প্রতিদিনের মতো সেদিনও টোটো পুরোদমেই সচল থাকবে।”
