জলপাইগুড়ি: প্রচারের অন্তরালে ৫১ পীঠের এক পীঠ। শালবাড়ির ভ্রামরী মন্দির। এলাকাবাসীর দাবি কামাখ্যা বা কালীঘাটের (KaliGhat) মতোই প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান হতে পারতো জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের শালবাড়ির ভ্রামরী মন্দির। তবে কিছুটা প্রচারের অভাবে লোক চক্ষুর অন্তরালে রয়েছে এই মন্দির। ধূপগুড়ি ব্লকের শালবাড়ি এলাকায় অবস্থিত ভ্রামরী দেবীর মন্দির। এখানেই সতীর বাঁ পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল পরেছিল বলে দাবি এলাকাবাসীর। সেখান থেকেই এই পীঠ তৈরি হয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। এই মন্দিরের উল্লেখ রয়েছে পঞ্জিকাতেও। শোনা যায় এক সময় এখানে নরবলিরও রেওয়াজ ছিল। এখনও প্রচলিত আছে বলি প্রথা। তবে এখন দেওয়া হয় পাঠা বলি ভ্রামরী কালি মন্দিরে।
যদিও প্রায় গোটা বছর ধরে ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গার মানুষ এই মন্দিরে দেবীর কাছে মানত করতে আসেন। স্থানীয়দের দাবি এই মন্দিরে দেবী রীতিমতো জাগ্রত। তাঁর কাছে কোনও কিছু মানত করলে তা মানত হয়। এমনকী বিশেষ দিনগুলিতে এখানে রাতের বেলায় নূপুরের আওয়াজ শোনা যায় বলেও দাবি স্থানীয়দের। তবে তাঁদের আক্ষেপ, প্রশাসন নজর দিলে হয়তো তীর্থস্থান হতে পারতো শালবাড়ি। যদিও এলাকার বিধায়ক থাকাকালীন মিতালি রায় এই মন্দিরের উন্নয়নের চেষ্টা করেছিলেন। এমনকী বিধায়ক মিতালি ও ধূপগুড়ি থানার বিদায়ী আইসির উদ্যোগে মন্দিরের প্রাচীর তৈরি হয়, জলের ব্যবস্থাও করা হয়। অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়।
সেই ভ্রামরী মন্দিরে এবারের কালীপুজোর প্রস্তুতি কয়েকদিন আগেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। মূলত স্থানীয়দের উদ্যোগেই এখানে পুজোর আয়োজন করা হয়। পুজো উপলক্ষে চণ্ডীপাঠ এবং খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা থাকে। কালীপুজোর আয়োজন প্রসঙ্গে পুজো কমিটির উদ্যোক্তা হিরু রায় বলেন, “সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই পুজোর আয়োজন চলছে। গভীর রাত পর্যন্ত এখানে পুজো-অর্চনা চলে।” স্থানীয় বাসিন্দা তথা পূজা উদ্যোক্তা প্রকাশ সূত্রধর বলেন,”সতী দেবীর বা পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল এখানে পড়েছে বলে জন্মের পর থেকে শুনে আসছি। তাই এটাকে ৫১ পীঠের এক পীঠ বলা হয়। প্রতি বছর এখানে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে কালীপুজো করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখানে পুজো দিতে আসেব। তবে মন্দিরের সেভাবে উন্নয়ন হয়নি।”