জলপাইগুড়ি: উদ্যোগ নেয়নি সরকার। সমস্যার সমাধানে এগিয়েও আসেনি প্রশাসন। তাই বাদ্ধ হয়ে দুই জেলার জনগণের যাতাযাতে সুবিধার্থে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নিল গ্রামবাসীরা। কালিম্পং জেলার মালচার বস্তি ও জলপাইগুড়ি জেলার জুরন্তী চা বাগানের মধ্যবর্তী নেওরা নদীর উপর এদিন স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে।
বুধবার কয়েক শো মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে ওই রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত লাগায়। জানা গিয়েছে, জুরন্তি সহ সংলগ্ন ইনগু, নাগেশ্বরী,চিলনি চা বাগানের জনগণকে মালবাজার শহরে যাতায়াত করতে গেলে প্রায় ২২ কিমি রাস্তা ঘুরে যেতে হয় নিত্যদিন। আবার নেওরা নদীর উপরে দিয়ে যাতায়াত করলে মালবাজার শহর ৮ থেকে ৯ কিমি দূরত্বই যাওয়া যাবে। জুরন্তি চা বাগানের দামু লাইন থেকে নেওড়া নদী পেরিয়ে কালিংপং এর মালচার বস্তি হয়ে নাকটি- শোনগাছি চা বাগান হয়ে মালবাজার শহরের যাওয়া যাবে। তবে সবটাই ঘুরপথ। তাই এই রাস্তার দাবিতে সকলে সরব ছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই।
এ দিন, জুরন্তী চা বাগান সহ নাকটি, মালচার বস্তি এলাকার জনগণ যৌথভাবে স্বেচ্ছাশ্রমে ওই রাস্তা সংস্কারের কাজে নামেন। নেওরা নদীর উপর বোল্ডার দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা করা হয়। রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত মেলান তৃণমূলের মেটালি ব্লক সভাপতি তথা জুরন্তি বাগানের বাসিন্দা জোসেফ মুন্ডা। জোসেফবাবুর স্ত্রী জেলা পরিষদের সদস্য। জোসেফ মুন্ডা বলেন, “এই রাস্তা হলে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে। মাল কলেজ,হাসপাতাল সহ মাল শহরে খুব কম সময়েই যাওয়া যাবে।”
কালিম্পং জেলার মালচার বস্তির বাসিন্দা মন কুমার সুব্বা বলেন,”এই রাস্তা হলে জলপাইগুড়ি জেলায় যাতাযাতের আমাদের অসুবিধা হবে। তাই এদিন আমরাও কাজে হাত লাগাই। একই কথা বলেন জুরন্তি বাগানের কয়েকজন বাসিন্দারাও।”