জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার: তিস্তায় জারি হল লাল সতর্কতা। মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার পর থেকে আরও জল বাড়বে তিস্তায়, সতর্কতা জারি করল সেচ দফতর। জলপাইগুড়ি সেচ দফতরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাত থেকে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায়। একই সঙ্গে সংরক্ষিত এলাকায় জারি রয়েছে হলুদ সঙ্কেত।
মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় তিস্তা ব্যারাজ থেকে প্রায় ২২৫০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সেই জল বিকেল ৪ টা নাগাদ দোমহনিতে এসে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে আরও জলস্তর বাড়তে পারে। অপরদিকে জলস্তর নামতে শুরু করেছে জলঢাকা নদীতে।
মঙ্গলবার বেলার দিকে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন তিস্তা পারে জলের প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। তিস্তা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পাহাড় থেকে আসা ঘোলা জলের ঢেউ ক্রমাগত আছড়ে পড়তে দেখা গেছে তিস্তা নদীর ঘাটে। ফলে আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজেশ রায়, ভরত বিশ্বাসরা জানিয়েছেন, জল বাড়ায় তাঁদের চাষের জমির জল ঢুকেছে। তাঁরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। একই সঙ্গে নতুন করে তিস্তা নদীর জল বাড়ায় তাঁরা আতঙ্কিত।
ফ্লাড কন্ট্রোল রুমের আধিকারিক কুন্তল বোস জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় প্রায় ২২৫০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। নতুন করে তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। যারফলে বিকেল ৪ টার পর থেকে অসংরক্ষিত এলাকায় আরও জল বাড়বে। একইসাথে জলঢাকা নদীর জলস্তর কমবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে নদী বাঁধের মেরামতি কাজ শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বতভাবেই প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে, প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুট ব্রিজ। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে মালবাজার তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। সোমবার রাত থেকে বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে ডুয়ার্সের বানারহাট এবং মালবাজার শহরের বেশ কিছু এলাকা। সোমবার রাতে বৃষ্টির পর মালবাজার মহাকুমার তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জমে গিয়েছে জল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মালবাজার উদ্যানেও জল ঢুকে পড়েছে তবে সকাল থেকে নতুন করে বৃষ্টি না হয় জলস্তর নামতে শুরু করেছে।
পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জেরে জলস্তর বাড়তে দেখা গিয়েছে পাহাড়ি নদীতে। মালবাজার মহাকুমার নিদাম চা-বাগানের একটি ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তা উপরে পড়েছে গাছ।