জলপাইগুড়ি: ভোট মিটে গিয়েছে। কিন্তু জলপাইগুড়িতে রাজনৈতিক চাপানউতোর এখনও চরমে। সৌজন্যে জলপাইগুড়ি সদরের বিজেপি প্রার্থীর এক সাংবাদিক বৈঠক। সোমবার রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন জলপাইগুড়ি সদরের বিজেপি প্রার্থী সৌজিত সিংহ। প্রশ্ন তুললেন তাঁর আয়ের উৎস নিয়ে। আর যা নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে কটাক্ষ করেন, “আমার বাবার একটি কুকুর আছে, ইংরেজিতে লিখতে পারবেন?” এই বেনজির বিতণ্ডায় কার্যত উত্তপ্ত জেলা-রাজনীতি। ঠিক কী অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী?
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জলপাইগুড়ির যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জীকে নিশানা করেন বিজেপি প্রার্থী সৌজিত সিংহ। তাঁর প্রশ্ন, “উনি বিলাসবহুল জীবন কাটান কীভাবে?” বিজেপি প্রার্থীর কথায়, “উনি একজন “ব্রিফলেস লইয়ার।” তাঁর কোনও পৈত্রিক জমিদারী ছিল বলে আমাদের জানা নেই। তাহলে কীভাবে এমন বিলাসবহুল জীবন কাটান?” এর পর তাঁর সরাসরি নিশানা, “উনি তোলাবাজি করেন। এই পরিস্থিতি আর চলবে না।” তার পর প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ বক্তব্যের অনুরণন শোনা গিয়েছে বিজেপি প্রার্থীর গলায়। তাঁর কথায়, “উনি যুব সমাজকে বিপথে পরিচালিত করছেন। কিন্তু আমরা দাদাগিরি করব না। আর কাউকে করতেও দেব না।” তিনি আরও যোগ করেন, এবার মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছে। বেশি ভোট পড়া মানেই সরকার বিরোধী।
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি প্রার্থী তীব্রভাবে নিশানা করেছেন যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী। তাঁর কটাক্ষ, ‘জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী তৃতীয় হবেন। হারবে জেনে উনি এখন হতাশায় ভুগছেন। ওনাকে দেখে আমার করুণা হয়।” আর তাঁর আয়ের উৎস ও বিলাস বহুল জীবন যাপনের প্রশ্ন নিয়ে সৈকতের তীব্র প্রতিক্রিয়া, “আমি একজন এমকম এলএলবি। বিজেপি প্রার্থী যদি আমার বাবার একটি কুকুর আছে, এই কথা ইংরেজিতে লিখতে পারেন, আমি ওকালতি ছেড়ে দেব।”
আরও পড়ুন: ‘মমতার নাকের ডগায় হাজার কোটির তোলাবাজি’, অডিয়ো টেপ হাতিয়ার করে দাবি বিজেপির
যুব তৃণমূল নেতা আরও বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে প্রচুর বড় মামলায় আমি ‘ডিফেন্স লইয়ার।’ হাইকোর্টের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর। আমি তোলাবাজি করি এটা বললে হবে না। প্রমাণ করতে হবে। নাহলে মানহানির মামলা করব।”