ধূপগুড়ি: রাঁধুনি ও সহায়িকার টাকা এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গিয়েছে। সেই অভিযোগে মিড ডে মিল রান্নাই বন্ধ রইল স্কুলে। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক এবং রাঁধুনির মধ্যে বিবাদ। তার জেরেই বন্ধ রয়েছে মিড ডে মিলের রান্না। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের হরিনখাওয়া এলাকার অঙ্কুর এসএসকে স্কুলের ঘটনা। অভিযোগ, একমাস আগে পর্যন্ত স্কুলে রাঁধুনিদের ১৫০০ টাকা করে দেওয়া হতো। গত মাস থেকে তা কমিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, ১৫০০ টাকার বদলে ৭৫০ টাকা করে পান তাঁরা। এরপরই প্রতিবাদে রান্না বন্ধ রাখেন তাঁরা। বুধবার স্কুলের মিড ডে মিল রান্না হয়নি। বৃহস্পতিবারও দুপুর ২টো পর্যন্ত রান্নার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি দেখে এরপরই রান্নার তৎপরতা শুরু হয়। এ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি ওই হচ্ছে হবে গোছের উত্তর দিয়েই দায় সেরেছেন। কিন্তু এসব উপরতলার লোকজনের আকচাআকচিতে প্রাপ্য খাবার থেকে বঞ্চিত হতে হল পড়ুয়াদের। কেন এমন ঘটনা ঘটবে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
তাঁরা বলেন, এমনও অনেকে আছে, যারা এই মিড ডে মিল পেলে তবে পেটে কিছু পড়ে। কীভাবে এমন সিদ্ধান্ত রাঁধুনিরা নিলেন আর তা কীভাবে স্কুলের শিক্ষিকারা মেনে নিলেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এর কোনও সদুত্তর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দিতে পারেননি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সারদা রায় বলেন, “আগে ছাত্র সংখ্যা ২৭ জন ছিল। পরে ছাত্র সংখ্যা ২২ জন হয়। আগে যে স্বয়ংম্ভর গোষ্ঠী কাজ করত ওরা ৩ হাজার টাকা পেত। এখন দেড় হাজার পায়। তা নিয়েই ঝামেলা। মিড ডে মিল করতে চাইছিল না। তাই কাল বন্ধ ছিল। আজও নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয়নি। তবে এখন ওরা রান্না করবে বলছে।”
যদিও রাঁধুনি মমতাবালা রায়ের কথায়, বুধবার রান্না বন্ধ রাখলেও বৃহস্পতিবার তাঁদের রান্না বন্ধ রাখার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। ব্যাঙ্কের কাজে গিয়েছিলেন। তাই দেরি হয় রান্নায়। তবে টাকা কমে যাওয়ায় যে ক্ষোভ রয়েছে সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানান, এখানে রান্নার গ্যাস পর্যন্ত নেই। কাঠ জ্বালিয়ে অনেক কষ্ট করে রান্না করতে হয়। ঝড়বাদলের দিনে খুবই সমস্যা হয়। প্রধান শিক্ষিকা জানান, সবই তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।