জলপাইগুড়ি: আবারও জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল আরও দুটি হাতির রক্তাক্ত মৃত দেহ। ওই দুটি হাতিও সেনার ফায়ারিং রেঞ্জে ঢুকে পড়েছিল বলে খবর। বন দফতর সূত্রে খবর, আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি হাতি। এই নিয়ে ৪৮ ঘণ্টায় মোট তিনটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ আহত হাতিগুলি খুঁজতে জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করেছে বন দফতর। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে। বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দায়ভার নিয়ে সেনা ও বন দফতরের মধ্যে শুরু হয়েছে তরজা।
১৩ মার্চ তিস্তা চরের ফায়ারিং রেঞ্জে প্রশিক্ষণ চলছিল সেনার। ১৪ মার্চ মঙ্গলবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন সালুগাড়া রেঞ্জে একটি ১২ বছরের হাতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই হাতিটিও ফায়ারিং রেঞ্জে আহত হয়েছিল বলে দাবি করেছিল বন দফতর। বৃহস্পতিবার উদ্ধার হল আরও দুটি হাতির দেহ। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি হাতির মধ্যে একটি হাতির দেহ উদ্ধার হয়েছে বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের তারঘেরা রেঞ্জে। আর অন্যটির দেহ উদ্ধার হয়েছে সাত মাইল রেঞ্জে। বুধবারই ওই দুটি হাতির দেহ উদ্ধার করেন বন কর্মীরা। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বন আধিকারিকরাও। উদ্ধার হওয়া হাতি দুটির মধ্যে সাত মাইলের হাতিটি পূর্ণবয়স্ক মহিলা হাতি বলে জানা গিয়েছে।
বন দফতরের আরও দাবি, ফায়ারিং রেঞ্জে ঢুকে পরাতেই সেনার বোমের সেল ফেটে স্প্লিন্টার লেগে ওই হাতিগুলির মৃত্যু হয়েছে। পশু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাতি দুটির শরীরে রয়েছে স্প্লিন্টারের ক্ষত। হাতি দুটির শরীর থেকেও স্প্লিন্টারের অংশ উদ্ধার হয়েছে দাবি বন দফতরের। যদিও ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন বন আধিকারিকরা। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হাতিগুলির মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও চক্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেনার তরফ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।