জলপাইগুড়ি: বিসর্জনের সন্ধ্যায় ভয়ঙ্কর হড়পা বানে ভাসিয়ে নিয়ে যায় অসংখ্য মানুষকে। ৮ জন মারা গিয়েছেন। অনেকের খোঁজ নেই। উদ্ধারও করা হয়েছে বহু মানুষকে। মালবাজারে চা বলয়ের বিভিন্ন এলাকায় এখন বিষাদের ছায়া। এই অবস্থায় শুক্রবার দুর্গাপুজোর বিসর্জনের কার্নিভাল বাতিল করা হল জলপাইগুড়িতে। ৭ অক্টোবর জেলায় জেলায় ভাসানের কার্নিভাল হবে। রাজ্য সরকার এই প্রথমবার জেলাতেও কার্নিভাল করছে। তবে মালবাজারে মাল নদীতে যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা দশমীর রাতে ঘটে গিয়েছে, তারপরই কার্নিভাল বাতিলের কথা ঘোষণা করলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।
জেলাশাসকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘মালে বিসর্জনের সময় ভয়াবহ হড়পা বানে ৮ জন মারা গিয়েছেন। যারা এই কার্নিভালে অংশ নিত সেই পুজো উদ্যোক্তাদের আবেগকে সম্মান জানিয়েই জলপাইগুড়িতে কার্নিভাল বাতিল করা হচ্ছে। মিউনিসিপালিটি পুর এলাকায় কার্নিভাল হবে না।’
জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, “আমাদের সবরকম প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু তারপরও ৮ জন মারা গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনও লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দায়ের হয়নি যে কারও বাড়ির লোক নিখোঁজ রয়েছেন। কুড়ি বছরের বেশি সময় এখানে বিসর্জন হয়। এইরকম কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।” মালবাজারের দুর্ঘটনায় আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা পিএমও থেকে। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা করে রাজ্য।
কলকাতা ও জেলার সেরা পুজোগুলিকে ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’ দিয়েছে রাজ্য। ষষ্ঠীর দিন এই পুরস্কারপ্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কলকাতার ৯৯টি পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি জেলার ২৮৯টি পুজো এই পুরস্কার পেয়েছে। এই পুজোগুলিই অংশ নেবে বিসর্জনের কার্নিভালে। এই প্রথমবার জেলার পুজোও কার্নিভালে যাচ্ছে।
৭ অক্টোবর অর্থাৎ শুক্রবার জেলায় কার্নিভাল। পরদিন শনিবার কার্নিভাল হবে কলকাতায় রেড রোডে। শুক্রবারের কার্নিভাল হবে জেলায় জেলায়। প্রথম বছরই জেলার ১২৩৯টি পুজোর আবেদন এসেছিল। ২২ জেলায় সেরা পুজো, সেরা প্রতিমা, সেরা মণ্ডপ ও সেরা সমাজ সচেতনতা বিভাগে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান দেওয়া হয়।