জলপাইগুড়ি: রাতের অন্ধকারে নদী থেকে অবৈধভাবে বালি পাচারের চেষ্টা চলছিল। টের পেতেই ট্রাক্টরকে ধাওয়া করে গ্রামবাসীরা। তাড়াহুড়ো করে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে চালক-খালাসি। নদীতে উল্টে গেল ট্রাক্টর। ঘটনায় শোরগোল জলপাইগুড়ির ঝার আলতা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আজ নয়, দীর্ঘদিন থেকেই চলছে এই বালি পাচারের কাজ। বালির পাশাপাশি চুরি হয়ে যাচ্ছে মাটি। অথচ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি প্রশাসন। দিনের পর দিন পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে খালি হয়ে যাচ্ছে নদীর বুক। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার লোকজন। সকলের একটাই দাবি, দ্রুত পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। বন্ধ হোক এই বেআইনি কাজ।
সূত্ররে খবর, বুধবার ধুপগুড়ি মহাকুমার ঝাড় আলতা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খট্টিমারি হাইস্কুল সংলগ্ন নদী থেকেই বালি তোলা হচ্ছিল। সেই খবর পেতেই ছুটে আসেন এলাকার লোকজন। তাঁদের দেখেই দ্রুত এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে ট্রাক্টরের চালক ও খালাসি। তাতেই ঘটে বিপত্তি। তবে তাঁদের গুরুতর কোনও আঘাত লাগেনি। প্রশ্নের মুখে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এ ঘটনাই আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ধূপগুড়ি এবং বানারহাট এলাকায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার।
অভিযোগটা কিন্তু আসছে অনেক দিন থেকেই। অবৈধভাবে বালি পাথর তোলার ফলে নদীর বুকে তৈরি করা হচ্ছে বড় বড় গর্ত। বদলে যাচ্ছে নদীর গতিপথ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর বাস্তুতন্ত্র। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন পরিবেশপ্রেমীরা। অভিযোগ বহু ক্ষেত্রেই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ।