জলপাইগুড়ি: দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলি ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে। যদিও এখনও ঘোষণা হয়নি ভোটের নির্ঘণ্ট। কিন্তু এরইমধ্য়ে রাজ্যের সমস্ত জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন শুরু হয়েছে। আর এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র অরুপ চক্রবর্তী। জনগর্জন সভার প্রস্তুতিতে শুক্রবার রাজগঞ্জে এসেছিলেন তিনি। সভা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে করেন। সেখানেই তিনি ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন।
অরুপ চক্রবর্তী বলেন, “এখনও ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়নি। কিন্তু তার আগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দেওয়া হল। এটা বেআইনি। কিন্তু বিজেপি পরিচালিত বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো মানে না। যা খুশি তাই করে। গত লোকসভা নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। কোচবিহারে গুলি করে মানুষ মেরেছে। আসলে ভোট দেবে সাধারণ মানুষ। মানুষ দেখছে কে তাঁদের পাশে রয়েছে। মানুষ দেখছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের বকেয়া টাকা দিয়ে দিচ্ছে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দ্বিগুণ করে দিয়েছেন।” অরূপের দাবি, “যত খুশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক। চাইলে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বাহিনী নিয়ে এসে ভোট করাক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মানুষ সমর্থন করবে।”
পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে পদ্ম শিবির। তৃণমূল মুখপাত্রকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ। তিনি বলেন, “পুলিশ এখন দলদাসে পরিণত হয়েছে। তাই পুলিশকে নিয়ে ভোট লুঠ করে তৃণমূল। ভাবতে লজ্জা লাগে কাশ্মীর এত উপদ্রুত এলাকা, কিন্তু সেখানেও এত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী যাচ্ছে না। তাহলে ভাবুন এই তৃণমূল আমাদের রাজ্যের হাল কী করে রেখেছে!” এখানেই না থেমে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখলে দেশের শত্রুদের প্যান্ট ভিজে যায়। তাই হয়তো এই জাতীয় মন্তব্য করছেন তৃণমূল নেতা। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় মানুষ খুশি।”