Jalpaiguri Murder: রাস্তায় পড়ে চাপ চাপ রক্ত, ধূপগুড়িতে সাতসকালে দাদার বাড়ি থেকে উদ্ধার ভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ

Rony Chowdhury | Edited By: সোমনাথ মিত্র

May 20, 2023 | 10:52 AM

Jalpaiguri Murder: সুরেশের বাড়িতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে লাঠি, পাথর, রক্তের চাকা চাকা দাগ। যাকে ঘিরে খুনের সন্দেহ দানা বাঁধছে এলাকাবাসীদের মনে।

Jalpaiguri Murder: রাস্তায় পড়ে চাপ চাপ রক্ত, ধূপগুড়িতে সাতসকালে দাদার বাড়ি থেকে উদ্ধার ভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ
কে বা কারা খুন করল তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ

Follow Us

ধূপগুড়ি: নিজের বাড়ি থেকে দূরে দাদার বাড়ি থেকে উদ্ধার যুবকের রক্তাক্ত দেহ। খুনের (Murder) অভিযোগ পরিবারের। ধূপগুড়ির (Dhupguri) মাগুরমারি এলাকার ঘটনা। ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। মৃত যুবকের নাম সুরেশ রায় (৪০)। সূত্রের খবর, এদিন সকালে নিজের বাড়ি থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে দাদার বাড়িতে ভ্যানের উপর তাঁর রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর চাউর হতেই তীব্র শোরগোল শুরু হয়ে যায় গোটা এলাকায়। খবর যায় যুবকের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছে। তাঁদের দাবি, খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। 

গোসারহাট এলাকাবার বাসিন্দা সুরেশ রায়ের বাড়িতে স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে। শুক্রবার সপরিবারে তাঁরা একটি নিমন্ত্রণ বাড়ি যায় বলে খবর। রাতে একা বাড়ি ফিরে আসে সুরেশ। তারপর থেকে সে ছাড়া বাড়িতে আর কেউ ছিল না। প্রতিবেশীদের অনুমান, গভীর রাতে তাঁর উপর কেউ হামলা চালায়। সুরেশের নিজের বাড়িতেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে লাঠি, পাথর, রক্তের চাপ চাপ রক্তের দাগ। যাকে ঘিরে খুনের সন্দেহ দানা বাঁধছে এলাকাবাসীদের মনে। প্রতিবেশীরা মনে করছেন প্রথমে নিজের বাড়িতেই বেধড়ক মারধর করা হয় সুরেশকে। আততায়ীর হাত থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন সুরেশ। রাস্তাতেও পড়ে রক্তের দাগ। পড়ে আছে লাঠি। পড়ে আছে সুরেশের জুতোও।

এরপর কাছেই দাদার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয় বলে মনে করছেন প্রতিবেশীরা। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিন সকালে উদ্ধার হয় তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ। ধূপগুড়ি থানার পুলিশ এসে ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কীভাবে খুন হল, কাদের হাত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পাড়া-প্রতিবেশীদের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের। ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার দাদা বলেন, “কখন মারা গিয়েছে আমরা কিছুই জানি না। আজ সকালে বাড়ির পাশে রাখা ভ্যানে ওর দেহ উদ্ধার হয়। তবে ও যে ভয়ে ভয়ে আছে তা বোঝা যাচ্ছিল। আমাকেও বলেছিল কেউ ওকে মেরে ফেলতে পারে। কিন্তু, কারা এ কাজ করল বুঝতে পারছি না।” 

Next Article