ঝাড়গ্রাম: গোপীবল্লভপুরে হাতির হামলায় মৃত্যু হল এক জনের। এমনকি আটটি বাড়িও দাঁতালের হামলায় ভেঙেছে। বৃহস্পতিবার রাতে গোপীবল্লভপুর এক ব্লকের রম্ভা রাইবনি গ্রামে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। মৃতের নাম লক্ষ্মণ হেমব্রত (৫৫)। তাঁকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে শূন্যে তুলে আছাড় মেরেছে হাতিটি। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকা ওই গ্রামে ঢুকে পড়ে দুটি হাতি। হাতি দুটি পরপর আটটি বাড়ি ভেঙে দেয়।
সে সময় বাড়ির সামনের দিকে বারান্দায় ঘুমোচ্ছিলেন লক্ষ্মণ হেমব্রম নামে ওই ব্যক্তি। আচমকাই একটি হাতি তাঁর ঘরের সামনে চলে আসে। পালানোর আগেই হাতিটি শুঁয়ে পেঁচিয়ে শূন্যে তুলে নেয়। তারপর বাড়ির উঠোনের সামনেই আছড়ে মাটিতে ফেলে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
তবে অল্পের জন্য তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। তাঁর বাড়ির কিছুটা অংশ ভেঙে দিয়েছে হাতি। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার ওই গ্রামে রাতভর তাণ্ডব চালায় ওই দুটি হাতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও বনদফতরের কর্মীরা। গোপীবল্লভপুর থানার পুলিশ লক্ষ্মণ হেমব্রমের রক্তাক্ত দেহটি উদ্ধার করে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের মর্গে লক্ষ্মণ হেমব্রমের দেহের ময়নাতদন্ত হবে। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
সেইসঙ্গে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে হাতি দুটি ওই গ্রামে থাকায় গ্রামবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন। ফসলেরও ব্যাপক পরিমাণ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।