ঝাড়গ্রাম : রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে যখন তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি, তখন বিজেপির বিরুদ্ধে নতুন অস্ত্রে শান দিচ্ছে শাসক দল তৃণমূল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই অভিযোগেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বীরবাহার দাবি, তাঁকে অপমান করে আদতে তফসিলি উপজাতির মানুষকে অপমান করা হয়েছে।
সম্প্রতি মৎস্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি প্রকাশ্যে রাষ্ট্রপতির রূপ নিয়ে মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে একজন মন্ত্রী কীভাবে এমন মন্তব্য করলেন, তা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি তথা বিরোধীরা। সম্প্রতি সেই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা অভিযোগ করেন,আদিবাসী পরিবারের মেয়ে বীরবাহা হাঁসদাকে জুতোর নীচে রেখে দেওয়ার কথা বলেও অপমান করা হয়েছে। অখিল-বিতর্কের পর শুভেন্দু অধিকারীর সেই মন্তব্যের ভিডিয়োও পোস্ট করা হয় তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। এবার সেই ইস্যুতেই এফআইআর করলেন খোদ বীরবাহা। বুধবার ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
বীরবাহার দাবি, তিনি একজন আদিবাসী তথা তফসিলি উপজাতির প্রতিনিধি এবং একজন মহিলা। তাঁর সম্পর্কে এমন মন্তব্য করে জনজাতিকে অপমান করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। মন্ত্রীর দাবি, সমাজের একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি হয়ে এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি শুভেন্দু অধিকারীর। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের একাধিক থানায় এই ইস্যুতে এফআইআর করতে শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
শুধু মমতাই নয়, বীরবাহা ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। মঙ্গলবার তিনি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে প্রশ্ন তোলে, রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য আমাদের দলের সর্বোচ্চ নেত্রী ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু বীরবাহা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের জন্য বিজেপি সর্বোচ্চ নেতৃত্ব কি পারবেন ক্ষমা চাইতে?