ঝাড়গ্রাম: পড়ানোর নাম করে ১৩ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনার ১ বছরের মাথায় অভিযুক্তকে কড়া সাজা দিল ঝাড়গ্রাম আদালত। সূত্রের খবর, এলাকারই এক ব্যক্তির কাছে দীর্ঘদিন থেকেই পড়তে যেত ওই নাবালিকা। ওই যুবক আবার নির্যাতিতার নিকট আত্মীয় বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, যেদিন ঘটনাটি ঘটে সেদিনও যুবকের বাড়িতে পড়তে গিয়েছিল নাবালিকা। সেদিনই বলপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে ওই ব্য়ক্তি। হুমকিও দেয়। সেই ভয়েই শুরুতে ঘটনার কথা কাউকে বলেনি নাবালিকা। কিন্তু, কিছু মাস যেতেই দেখা যায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গিয়েছে সে। তারপরই ঘটনার কথা জানাজানি হয় পরিবারে। ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে পরিবারের সদস্যরা।
গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ পাওয়ার পরেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। ৩১ জানুয়ারি চার্জশিট দেয় পুলিশ। তারপর থেকেই শুনানি চলছিল আদালতে। এই মামলায় মোট কুড়ি জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অবশেষে সমস্ত সওয়াল-জবাব শেষে অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হতেই সাজা ঘোষণা করে দিল আদালত।
মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় এডিজে ২ সাজা ঘোষণা করেন। ২১ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালক। অন্যদিকে ধর্ষণের পর হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ সামনে এসেছিল তাতেও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে খবর। তা না দিলে আরও ৫ দিন জেলে থাকার নির্দেশ এসেছে। পাশাপাশি নির্যাতিতাকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দিয়েছে আদালত।