জামবনি : জামবনির কুলডিহা গ্রামে হাতির হামলায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। মৃত প্রৌঢ়ের নাম পরমেশ্বর মাহাত (৫০)। শনিবার দুপুর নাগাদ মাঠে চাষের কাজ করতে যাচ্ছিলেন ওই প্রৌঢ়। সেই সময়েই হাতির হামলার কবলে পড়েন। শনিবার সকাল থেকে ওই এলাকায় হাতির দল তাণ্ডব চালাচ্ছে। কয়েকটি বাড়িও ভাঙচুর করেছে হাতির দল। এরই মধ্যে হাতির হামলায় পরমেশ্বর বাবুর মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। এদিকে প্রৌঢ়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জামবনি থানার পুলিশ। তবে জামবনিতে হাতির হামলায় একের পর এক মানুষের মৃত্যুতে ভয় সিঁটিয়ে রয়েছেন এলাকাবাসীরা। এদিকে হাতির তাণ্ডবের জেরে এলাকার ঘরবাড়ি ও ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। তাঁদের দাবি, হাতির দলকে দ্রুত এলাকা থেকে সরাতে হবে। উত্তেজিত গ্রামবাসীদের শান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।
এলাকায় হাতির তাণ্ডবের জেরে কার্যত রাতের ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীদের। সন্ধে নামলেই সকলে প্রায় ঘরবন্দি। রাতে ভয়ে কেউ বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না। বন দফতর থেকেও বার বার সতর্ক করা হচ্ছে। সন্ধে ৬ টা থেকে সকাল ৬ টার মধ্যে এলাকায় জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে। হাতিকে যাতে উত্ত্যক্ত করা না হয়, সেই জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাতিকে যাতে যাত্রা পথে বাধা দেওয়া না হয়, সেই কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু তবুও বন দফতরের কর্মীদের ভূমিকায় খুশি নন এলাকাবাসীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, বারবার জানানো সত্ত্বেও বন দফতরের তরফে হাতির দলটিকে এলাকা থেকে সরানোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
গত সপ্তাহেই জামবনিতে হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। বাড়ির সামনে উঠোনে খাটিয়া পেতে ঘুমোচ্ছিলেন সোনাবারি মুর্মু। আচমকাই সেখানে হাতির হানা। শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে তুলে, মাটিতে আছাড় দিয়ে পা দিয়ে পিষে চলে যায় হাতি। সেই ঘটনার পর শনিবার দুপুরে আবারও হাতির হানায় প্রাণ হারালেন এক প্রৌঢ়। বার বার এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।