ঝাড়গ্রাম: বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশে বেশ কিছু রদবদল হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এডিজি সিআইডি পদ। এখানে এতদিন ছিলেন জ্ঞানবন্ত সিং। সেই জায়গায় এলেন আর রাজাশেখরন। এবার থেকে জ্ঞানবন্ত শুধু এডিজি এসটিএফের দায়িত্ব সামলাবেন। অন্যদিকে দায়িত্ব বাড়ানো হয়েছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের সিপি মনোজ কুমার ভর্মার। ব্যারাকপুরের সিপির সঙ্গে আইজিপি এসিবির দায়িত্বও সামলাবেন তিনি। বদল হল ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার। বিশ্বজিৎ ঘোষের বদলে এই পদে এলেন অরিজিৎ সিনহা। এতদিন কলকাতা ট্রাফিকের ডিসি পদে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে বিশ্বজিৎ ঘোষকে আনা হল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি ডিডি পদে।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে ঝাড়গ্রাম পুলিশ সুপারের বদল ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আগামী ১১ মে ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে। তার আগে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষকে সরানো হল। প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল নবান্ন সভাঘর থেকে প্রশাসনিক বৈঠকে বিশ্বজিৎ ঘোষকে মাওবাদী গতিবিধি নিয়ে নানা প্রশ্ন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘যদি ঝাড়খণ্ড থেকে কোনও মাওবাদী আসে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নাও।’ পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন, বেলপাহাড়ি সীমানা সিল করা হয়েছে, নাকা চেকিংও করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই জবাবে যে সন্তুষ্ট হননি, তা সরাসরি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমার কাছে খবর আছে বেলপাহাড়ি বর্ডার দিয়ে কেউ কেউ ঝাড়খণ্ড থেকে ঢুকছে। কেউ তাদের মদত দিচ্ছে।’
গত কয়েকদিনে জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপ মাথাচাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য প্রশাসন নিয়মিত নজর রাখছে সেদিকে। যদিও একাংশের দাবি, মাওবাদী নয়, কেউ কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এলাকায় আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করতেই এ ধরনের কথা ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারও পড়ছে। তবে এটাও সত্যি, সম্প্রতি বেশ তিনজন মাওবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয়েছে। লালগড় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। যা নিয়ে জোর চর্চা হয়। সবদিক নজরে রেখেই পুলিশ সুপার বদলের সিদ্ধান্ত কি না তাও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছে।