ঝাড়গ্রাম: দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করছিলেন গ্রামের প্রত্যেকে। যে কোনও সময়ে আসতে পারে তারা। ইতিমধ্যেই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করেছে তারা। কিন্তু বনদফতর প্রথম থেকেই কাজে ঢিলেমি দিয়েছে বলে অভিযোগ। এবার তারই মাশুল গুনতে হল ঝাড়গ্রামের জারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের। শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে আছাড় দিল মাঝ বয়সী এক ব্যক্তিকে। মাথা থেঁতলে মৃত্যু হয় তাঁর। তারপরও তাঁর শরীর পা দিয়ে পিষে মাড়িয়ে চলে যায়। ঝাড়গ্রামের জারুলিয়ার গ্রামে হাতির হানায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম গণেশ সিং।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাস খানেক ধরে এলাকায় হাতির পাল ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে। গ্রামে ইতিমধ্যেই বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। শস্যের ক্ষতি হয়েছে। এর আগে একাধিকবার বনদফতরকে জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, বনকর্মীরা হাতি জঙ্গলে ফেরাতে কোনও উদ্যোগ নেননি। ফলে আতঙ্ক দানা বেঁধেছিল গ্রামবাসীদের মনে।
সোমবার সকালে নেদাবহড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জারুলিয়া গ্রামে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন গণেশ। তখনই হাতির পালের মুখোমুখি হয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, গণেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গণেশ দৌড়তে শুরু করলে একটি হাতি তাঁর পিছু নেয়। তাঁকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে। পরে পা দিয়ে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গণেশের।
ওই ঘটনার পর এলাকার বাসিন্দারা বনদফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি ঘরবাড়ির ক্ষতি করছে হাতির দল। সেই সঙ্গে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটল। যার ফলে এলাকার বাসিন্দারা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বনদফতরের ওপর। হাতির হামলায় মৃত্যুর ঘটনা অব্যাহত থাকায় ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হাতির হামলায় মৃত্যুর খবর পেয়ে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা জারুলিয়া গ্রামে যায়। জারুলিয়া গ্রামে গিয়ে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। বন দফতরের পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।