Landslide in Kalimpong: দুর্যোগ কাটলেও বিদ্যুৎ, পানীয় জলের কষ্ট পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায়

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 23, 2021 | 9:13 AM

Landslide: দু'দিন আগে পাহাড়ে যেভাবে বৃষ্টি এবং ধস নেমেছে, তাতে সেখানকার পানীয় জলের যে ব্যবস্থা তা একেবারে ভেঙে পড়েছে।

Landslide in Kalimpong: দুর্যোগ কাটলেও বিদ্যুৎ, পানীয় জলের কষ্ট পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায়
গত দু' তিনদিনে একেবারে প্রলয় চলেছে পাহাড়ে। যেখানে সেখানে ধস, রাস্তা বন্ধ। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

কালিম্পং: গত দু’ তিনদিনে একেবারে প্রলয় চলেছে পাহাড়ে (Kalimpong)। যেখানে সেখানে ধস, রাস্তা বন্ধ। পর্যটকদের জন্য যা আতঙ্কের দিনরাত্রি! স্থানীয়দের কাছে আবার চেনা ভয়াল দৃশ্য। আপাতত দুর্যোগের মেঘ কেটেছে। পাহাড়ও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে চেষ্টা করছে। তবে এরই মধ্যে নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। একদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে যেমন সমস্যা হচ্ছে। তেমনই পানীয় জলের অভাবও দেখা দিচ্ছে। বিশেষ সমস্যায় হোম স্টেগুলি। পর্যটক রয়েছে, এদিকে তাঁদের পরিষেবা দিতে গিয়ে নাকাল অবস্থা।

দু’দিন আগে পাহাড়ে যেভাবে বৃষ্টি এবং ধস নেমেছে, তাতে সেখানকার পানীয় জলের যে ব্যবস্থা তা একেবারে ভেঙে পড়েছে। এর জেরেই চরম সমস্যায় পড়েছে পাহাড়ের হোম স্টে, হোটেল মালিকরা। সুনতালে খোলা এলাকার বাসিন্দারা জানান, বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পাহাড়ি রাস্তার। সুনতালে, ঝান্ডি, সামাবিয়ং এলাকায় পানীয় জলেরও সমস্যা দেখা দিয়েছে। আবার এখানকার ৭০% এলাকায় বসে গিয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। জলের সমস্যার মূল কারণ হিসাবে তাঁরা বলছেন, এখানে উঁচু ঝরনা থেকে পানীয় জল পাইপের মাধ্যমে গ্রামে আসে। কিন্তু ধসের কারণে সব পাইপ লাইনই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার ফলে পানীয় জলের সমস্যা হচ্ছে।

রাস্তাঘাটও এখনও বেশ কিছু জায়গায় সমস্যার কারণ হচ্ছে। গরুবাথান ব্লকে লাভার কাছে শেরপা গাঁও এলাকায় বর্ডার অর্গানাইজেশনের রাস্তা ভেঙেছে এই ভারী বৃষ্টিতে। ফলে পর্যটকদের লাভায় যেতে সমস্যা হচ্ছে। অন্য দিকে ঝান্ডি যাবার বিকল্প রাস্তাও ভেঙে গিয়েছে। তাই ঝান্ডি, সুনতালে খোলা, সামাবিয়ং এলাকায় যাওয়ার বিকল্প রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ।

ঝান্ডির হোম স্টে মালিক শুভম পোদ্দার বলেন, জায়গায় জায়গায় রাস্তা খারাপ। পর্যটকদের ঘুরপথে নিয়ে আসা হচ্ছে হোম স্টেতে। যেহেতু আগে থেকে বুকিং রয়েছে, তাই পর্যটকেরা আসছেন। গত দু’ বছর ধরে করোনার কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসা। পুজোর সময় কিছুটা অক্সিজেন পাচ্ছিলেন হোটেল, হোম স্টে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু গত দু’দিনের দুর্যোগ আবারও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

ডালিমটারের হোম স্টের মালিক দেওপ্রকাশ রাই জানান, এখানে আসার রাস্তায় আট জায়গায় ধস নেমেছিল। যোগাযোগ একদম বিচ্ছিন্ন। পায়ে হেঁটে আসা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। যানবাহনের চলাচল একেবারেই বন্ধ। দ্রুত এ পথ সংস্কার না হলে পর্যটকদের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদেরও সমস্যা হবে। তবে এক প্রতিকূলতার মধ্যেও পর্যটক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে কোনও খামতি রাখছেন না এই মানুষগুলি। বিকল্প রুটে পর্যটকদের নিরাপদে হোম স্টে, হোটেলে নিয়ে যাচ্ছেন। কোনও সমস্যা যাতে না হয় সেদিকে সবসময় নজর রাখছেন। তাঁদের বিশ্বাস, পুরোদমে শীত পড়ার আগেই আবারও পুরনো ছন্দে ফিরবে পাহাড়।

আরও পড়ুন: গোয়া সফরের জন্য মুখিয়ে মমতা, সাগরতীরে ‘নতুন ভোর’ই লক্ষ্য

Next Article