মালদহ: একশো দিনের কাজে দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ তুলে একাধিকবার রাজ্যের শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছে বিজেপি (BJP) নেতাদের। এবার সেই ১০০ দিনের প্রকল্পে ১০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক চাপানউতর রাজনৈতিক মহলে। কলকাতা হাইকোর্টেও (Calcutta High Court) দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) পরিচালিত কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তৈরি হয়েছে ৩১৭ পাতার চার্জশিট। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, একশো দিনের কাজে পুকুর খননে বিশালাকার দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি হয়েছে কবরস্থানের প্রাচীর নির্মাণ, গার্ডওয়াল নির্মাণ, ক্যানেল সংস্কারেও হয়েছে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি। দুর্নীতি হয়েছে ঢালাই রাস্তা নির্মাণ সহ আরও একাধিক কাজে। অভিযোগ, সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ-প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য সহ একশোদিনের কাজের সুপারভাইজাররা। জমিতে কলা চাষের ভুয়ো বোর্ড লাগিয়েও তোলা হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। একইসঙ্গে রাতের অন্ধকারে জেসিবি মেসিন দিয়ে পুকুর কেটে ভুয়ো মাস্টার রোল বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েতের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও আরও একাধিক নির্মাণ প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা।
এ প্রসঙ্গে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারী মহম্মদ সেখিল হোসেন বলেন, “ওই পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটা বুথে একশো দিন প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি। খাতায়-কলমে কাজের খতিয়ান থাকলেও বাস্তবের মাটিতে আদপে কিছুই হয়নি। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। দুর্নীতিবাজরা শীঘ্রই শাস্তি পাবে।” তবে অভিযোগ উঠলেও তা উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্তরা। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আক্তারি খাতুনের স্বামী আব্দুল রশিদের দাবি, অভিযোগকারীরা প্রথমে তাঁর থেকে টাকা চান। কিন্তু, টাকা না দেওয়াতেই তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।