মালদা: একই গ্রাম থেকে একই দিনে একই সঙ্গে উধাও তিন ছাত্রী। প্রায় ছয় দিন হতে চলল, এখনও খোঁজ মিলছে না কারও। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজার থানা এলাকায়। তিন ছাত্রীর মধ্যে এক কলেজ ছাত্রী ও এক নাবালিকাও রয়েছে। গত সোমবার থেকে তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সেদিন সকালে কেউ কলেজে যাবে বলে, কেউ স্কুলে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে বাড়ির লোকজনের। মেয়েরা কোথায় আছে, কীভাবে আছে, কোনও বিপদে পড়ল কি না… কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
শুধু তিন পরিবারই নয়, পাড়া-প্রতিবেশীদেরও চিন্তার অন্ত নেই। এমন অবস্থায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। থানায় গিয়ে তিন পরিবারই মেয়েদের হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে এসেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও খোঁজখবর দিতে পারছে না বলে দাবি গ্রামবাসীদের। এমনকী থানায় গিয়ে বিষয়টি জানিয়ে আসার পর থেকে পুলিশের তরফে তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
নিখোঁজ তিন ছাত্রীর মধ্যে ওই কলেজ ছাত্রীর মা জানাচ্ছেন, সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ কলেজে যাওয়ার নাম করে তাঁর মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও, মেয়ে বাড়ি ফিরছিল না। তখন উদ্বিগ্ন মা ফোন করেন মেয়েকে। কিন্তু ফোন সুইচড অফ। তখন থেকেই দুশ্চিন্তা শুরু হয়। এরপর সময় আরও কিছুটা বাড়তেই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। তখনই জানতে পারেন, গ্রামের আরও দুই মেয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। এরপর মঙ্গলবার সকালেই তিন পরিবার একসঙ্গে থানায় গিয়ে পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ। ওই মহিলার সন্দেহ, তিনজনকে কেউ কোনও লোভ দেখিয়ে অপহরণ করে থাকতে পারে।
এদিকে তিন ছাত্রীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানও। তাঁরও বক্তব্য, “পুলিশকে বার বার বলা হয়েছে। আমার তরফ থেকে যতটুকু করার, যতটুকু চাপ দেওয়ার, তা করছি। আজও পুলিশের কাছে যাব। এখানে যদি কাজ না হয়, পুলিশ সুপারের কাছে যাব আমি।”