মালদা: ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) হয়ে জেলায় জেলায় ঘুরছেন তৃণমূলের নেতারা। বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এবার ফের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ক্ষোভের মুখোমুখি বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। এদিন মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ও মালদা জেলা পরিষদের সদস্য প্রতিভা সিং। সেখানেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। বিক্ষুব্ধরাও তৃণমূলেরই সমর্থক।
প্রসঙ্গত, যদুপুর এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে বহু ট্রাক লোড-আনলোড হয়। এলাকার বহু মানুষ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। আগে এখানে ট্রাক লোড-আনলোডের কাজের জন্য কুপন সিস্টেম চালু ছিল। কিন্তু এখন সেই সিস্টেম বদল করে অ্যাপ নির্ভর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই নতুন ব্যবস্থার ফলে এলাকার বহু মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এই নতুন ব্যবস্থার ফলে যাঁদের নিজস্ব এক্সপোর্ট আছে, তাঁদের সুবিধা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেককেই গাড়ি বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। এক বিক্ষোভকারী বলছেন, তিনি ৯ লাখ টাকায় গাড়ি কিনে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এই সব সমস্যা ও দাবিদাওয়ার কথা নিয়ে এদিন সমর মুখোপাধ্যায়ের সভামঞ্চের সামনে ভিড় জমান তাঁরা। বিধায়কের বক্তব্য চলাকালীনই মঞ্চে উঠে পড়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় খানিক ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে অন্যান্য নেতারা তাদের বুঝিয়ে মঞ্চের নীচে নামান। কিন্তু বিধায়ক বক্তব্য শেষ করে মঞ্চ থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই ব্যক্তিরা। যদিও প্রতিভা সিং এই বিষয়ে বলেন, ‘এদের গাড়ি অনেকদিন ধরে চলছে না। বিষয়টি আমরা জেলাশাসককেও জানিয়েছি। আজ সমরবাবুও ওনাদের লিখিত দিতে বলেছেন বিষয়টি।’ বিধায়ক অবশ্য বলছেন, ‘আমরা দিদির দূত হয়ে এসেছি। মানুষ কথা বলছে। কোনও ক্ষোভ জানানো হয়নি।’