মালদহ: স্কুলের মধ্যেই হাতাহাতি দুই শিক্ষকের। সহকারী প্রধান শিক্ষকের হাতে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। চলল মারামারি, কিল, চড়, ঘুষি, থাপ্পড়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছালো যে সামাল দিতে ছুটে আসতে হল পুলিশকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা মানিকচকের এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। সূত্রের খবর, গেটের চাবি চাওয়া নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। প্রধান শিক্ষক বাদিউজ্জামানের থেকে গেটের চাবি চান সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার। কিন্তু, তা দিতে অস্বীকার করেন বাদিউজ্জামান। তখনই দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তখনই প্রধান শিক্ষক সুনন্দবাবুর হাত কামড়ে দেন।
দুই শিক্ষকই ইতিমধ্যে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছেন। মানিকচক থানারও দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিকে গোটা ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে জেলার শিক্ষা মহলে। দুই সহকর্মীর কাজে নিন্দায় সরব হয়েছেন এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকেরাও। লজ্জায় মুখ লুকাচ্ছে স্কুলের পড়ুয়ারাও।
এদিকে সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার বলছেন, টিফিনের সময় আমি ব্যাঙ্কে যাওয়ার সময় গেটের চাবি চেয়েছিলাম। কিন্তু, উনি দিচ্ছিলেন না। আচমকা আমার উপর চড়াও হয়ে কিল মারতে থাকেন। আমি থামাতে গেলে কানে ঘুষি মারে। হাতে কামড়ে দেন। আমি তো এখন কানে কম শুনতে পাচ্ছি। হাত দিয়ে রক্তপাত হয়েছে। প্রশাসনকে অনুরোধ করছি এ ঘটনার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
পাল্টা প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করছেন। পাল্টা দোষ চাপিয়েছেন সুনন্দবাবুর কাঁধেই। তিনি বলছেন, স্কুল ছুটির আগে কেউ স্কুল থেকে বের হতে পারবেন না। আমি চাবি না দেওয়াতেই উনি আমাকে মারধর করেছেন। ওনার স্ত্রী এলাকার প্রধান হওয়ায় দাপট দেখাচ্ছেন।
ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন এনায়েতপুর ইনসান আলি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী মোয়াজ্জেম হোসেন। একই সুর স্কুলের পড়ুয়া থেকে এলাকার বাসিন্দাদের গলাতেও। সকলের একটাই মত, যা হল, তাতে খারাপ প্রভাব পড়ছে স্কুলে।