রায়গঞ্জে অমিত শাহ
Image Credit source: TV9 Bangla
মালদহ: গত লোকসভা নির্বাচনে মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে খুব কম ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। আর এবার ফের ওই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হয়েছেন শ্রীরূপা। তাঁর প্রচারে রাজ্যে এসেছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রার্থীকে পাশে বসিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে রোড শো করেন শাহ। বিপুল সমর্থকদের ভিড় চোখে পড়ে সেই রোড শো-তে।
কী বার্তা দিলেন অমিত শাহ, একনজরে:
- ইউপিএ সরকার বাংলা ২ লাখ ৯ হাজার কোটি দিয়েছিল, মোদী সরকার ১০ বছরে ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে। কিন্তু এই টাকা আপনাদের কাছে পৌঁছয়নি, তৃণমূলের নেতারা কাটমানি খেয়ে শেষ করেছে। যারা ভাঙাচোরা সাইকেলে ঘুরত, তারা এখন অট্টালিকায় থাকে, বড় দামী গাড়িতে ঘোরে: অমিত শাহ।
- তৃণমূল কংগ্রেসকে শিক্ষা দেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে: অমিত শাহ।
- দেশ জুড়ে ভোট হয়, কিন্তু কোথাও কোনও হিংসা দেখা যায় না। বাংলায় এই হিংসার কারণ তৃণমূল কংগ্রেস: অমিত শাহ।
- ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিয়েছেন মোদী। ১২ কোটির বেশি শৌচালয় বানিয়েছে। ১৪ কোটি মানুষকে জল দিয়েছে। বাংলায় কাটমানির প্রথা বন্ধ করতে পারে বিজেপি: অমিত শাহ।
- বাংলায় আমরা ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছি। আমি চাই রায়গঞ্জের আসন সেই আসনের মধ্য়েই থাকবে।
- জনসভায় শুরুতেই রাম মন্দিরের কথা বললেন অমিত শাহ। বললেন, “২০১৯-এ আপনারা ১৮টি আসন দিয়েছিলেন, তারপরই মোদী রাম মন্দির মামলায় জিতে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন। এবার ৩৫টি আসন দিন, বাংলাকে আমরা অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে মুক্তি করব।”
- মালদহের পর রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পালের প্রচারে জনভায় হাজির হন অমিত শাহ।
- আবারও বাংলা থেকে ৩০টি আসন জয়ের কথা বললেন অমিত শাহ। মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্র প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, “আগেরবার ৫ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন, এবার ৫০ হাজার ভোটে জেতান। শুধুমাত্র ইংরেজবাজার থেকে ১ লক্ষ ভোটের লিড চাই।”
- নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে সওয়াল করে অমিত শাহ বলেন, “সিএএ আনা উচিত নাকি উচিত নয়? অনুপ্রবেশ বন্ধ করা উচিত নাকি উচিত নয়? একমাত্র মোদী সরকারই এসব করতে পারে। এভাবেই বাংলায় আসতে পারে উন্নয়ন।”
- অনুপ্রবেশকারীদের আটকানোর কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ ভাই-বোনদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: অমিত শাহ।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে শুরু হয়েছে দুর্নীতির শাসন। মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নামে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়: অমিত শাহ।